রাহুল ত্রিপাঠী। ছবি: এএফপি।
এ ভাবেই হয়তো ঘোরে ভাগ্যের চাকা। এ ভাবেই হয়তো স্বপ্নগুোল সফল হয়ে যায় নিজের অজান্তেই। শুধু তার পিছনে তাকে অদম্য জেদ, একাগ্রতা আর নিজেরে তৈরি করা। ঠিক যেমনটা করেছেন পুণে সুপার জায়েন্টের রাহুল ত্রিপাঠী। এই আইপিএল-এর তিনিই সেরা আবিষ্কার। পুণেকে ফাইনালে তোলার পিছনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনিই। গল্পটা এখানে নয়। গল্পটা আসলে সত্যিই গল্পের মতো। কিন্তু সত্যি।
আরও খবর: ফাইনালে উঠে ধোনি-স্মিথের যৌথতার কথা বলছেন দলের মালিক
ধোনির শহর রাঁচীতেই জন্ম রাহুলের। যখন ভাবছেন ক্রিকেট খেলবেন তখন বিশ্ব ক্রিকেটে তারকার নাম মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তাঁকে আদর্শ করেই এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু ওই তারকা ক্রিকেটারের ধারে কাছে পৌঁছনো চিল তখন অসম্ভব। তাই ধোনির একঝলক পাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতেন ধোনির বাড়ির সামনে। তখন তিনি শুধুই ফ্যান। ধোনি হয়তো দেখেওছেন কিন্তু তখন কী ভেবেছিলেন তাঁর সঙ্গেই একদিন ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নিতে হবে ধোনিকে।
যখন একসঙ্গে ব্যাট করলেন স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে।
প্রথম যেদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স পুণের নেটে ব্যাট করতে নেমেছিলেন সেদিনই সামনে পড়ে গিয়েছিলেন ধোনি। রাহুল বলেন, তার পর দু’জনে দু’রাউন্ড ব্যাট করেছিলেন। আসল বিপদটা হয়েছিল পুণের হয়ে আইপিএল-এ ব্যাট করতে নেমে। উল্টোদিকে তখন সেই ধোনি। রাহুল জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁর কী অবস্থা হয়েছিল। দোনি নামার পর প্রথম পাঁচ, ছয় বলে ভাল মতো ব্যাট চালাতেই পারেননি তিনি। এটাই তখন তিনি ভাবছিলেন সামনে দাঁড়িয়ে এমএস ধোনি তাঁকে দেখছেন। আর অপেক্ষা করছেন কখন এক রান নিয়ে ধোনি স্ট্রাইক দেবেন তিনি। কলকাতার বিরুদ্ধে তাঁর ৫২ বলে ৯৩ রানের ইনিংসেই সেদিন বাজিমাত করেছিল পুণে। কুলদীপ যাদবতে পর পর তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু সেঞ্চুরিটা পাওয়া হয়নি। তাতে কী, যাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্রিকেটের স্বপ্ন দেখা সেই ধোনির সঙ্গে মাঠে নেমে ব্যাট করতে পারাটা তাঁর কাছে যে কত সেঞ্চুরির সমান তা সে নিজেও জানেন না।