খেলা শেষে মাঠেই বিরাটের সঙ্গে বিবাদে জড়ান গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র
গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে মাঠেই বিবাদের পরে ভিন্ন মেজাজে দেখা গিয়েছিল বিরাট কোহলিকে। দিল্লিতে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হাসি মুখে স্ত্রীর সঙ্গে ছবিও দিয়েছিলেন সমাজমাধ্যমে। কিন্তু গম্ভীর কি এখনও সেই বিবাদ ভুলতে পারেননি! নইলে কেন সমাজমাধ্যমে খোঁচা মেরে টুইট করতে যাবেন তিনি?
গম্ভীর টুইটে লিখেছেন, ‘‘চাপের দোহাই দিয়ে দিল্লির ক্রিকেট ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া একটা লোক টাকার বিনিময়ে ক্রিকেটের প্রতি চিন্তা দেখাচ্ছে। এটা কলিযুগ। এখানে পালিয়ে যাওয়া লোকেরাও নিজেদের বড়াই করে।’’
টুইটে কারও নাম করেননি গম্ভীর। তবে কোহলির সঙ্গে বিবাদের পরেই এই টুইট করায় সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ মনে করছে, কোহলিকে খোঁচা মেরেই এই টুইট করেছেন তিনি। কোহলি নিজেও দিল্লির হয়ে খেলতেন। তাঁকেই কি তবে নিশানা করলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার!
আইপিএলে সোমবার ম্যাচ চলাকালীনই নবীনের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় কোহলির। লখনউয়ের ইনিংসের শেষ দিকে বিরাটের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আফগান বোলারের। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসতে হয় আম্পায়ারদের। সেই বিবাদ ম্যাচের পরেও চলতে থাকে। নবীন আউট হওয়ার সময় উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা ভাল ভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেন লখনউয়ের বিদেশি ক্রিকেটার। পাল্টা কিছু বলেন কোহলিও। তার পরেই সেখানে আসেন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেন। তার পরেই বিবাদ বেড়ে যায়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে সেখানে এসে উপস্থিত হন দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। কোহলি ও গম্ভীর দু’জনেই দিল্লির। লখনউয়ের স্পিনার অমিত মিশ্র ও সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়াও দিল্লির হয়ে খেলেছেন। সেই কারণে তাঁরা কোহলি, গম্ভীরকে ভাল ভাবে চেনেন। তাঁরাই বেশি উদ্যোগী হয়ে দু’জনকে আলাদা করেন। লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ছিলেন সেখানে। কোহলিকে সরিয়ে নিয়ে যান আরসিবির অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি।
এর আগে কেকেআরের অধিনায়ক থাকাকালীনও বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে মাঠে বিবাদ হয়েছিল গম্ভীরের। সেই সমস্যা এখনও চলছে।