হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের চলতি মরসুমও ভাল যায়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। প্রথম দল হিসাবে বিদায় নিয়েছে তারা। মুম্বইয়ের এই হারের সব দায় অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যের ঘাড়ে চাপিয়েছেন এবি ডিভিলিয়ার্স। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলতেন ডিভিলিয়ার্স। বিরাট কোহলির সতীর্থের মতে, হার্দিকের মানসিকতার জন্যই দল হিসাবে খেলতে পারেনি মুম্বই।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়োতে ডিভিলিয়ার্স বলেন, “হার্দিকের অধিনায়কত্বের ধরন অন্য রকম। ওর আঁতে ঘা লাগলে সেটা হার্দিক নিতে পারে না।” ডিভিলিয়ার্স আরও বলেন, “হার্দিক মানুষ হিসাবে যেমন সেটা মাঠে দেখায় না। খেলতে নামলে ও একটা অন্য মানুষ হওয়ার চেষ্টা করে। অনেকটা মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতো ঠান্ডা, শীতল মানসিকতা দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ধোনি মাঠের বাইরেও একই রকমের মানুষ। হার্দিক সেটা নয়। তাই সেটা কাজে লাগেনি।”
ডিভিলিয়ার্স মনে করেন, যে দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারেরা রয়েছেন, সেই দলে এই রকম মানসিকতা নিয়ে অধিনায়কত্ব করা যায় না। তিনি বলেন, “দলে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকলে সবাইকে নিয়ে চলা উচিত। সেখানে মুম্বইয়ের রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরার মতো ক্রিকেটার রয়েছে। হার্দিক এই মানসিকতা নিয়ে গুজরাত টাইটান্সে সফল হয়েছে। কারণ, ওখানে বেশি তারকা ছিল না। তরুণ ক্রিকেটারেরা অনেক সময় অধিনায়ককে দেখে শেখার চেষ্টা করে। সেটা মুম্বইয়ের মতো দলে সম্ভব নয়।”
নিজের অভিজ্ঞতা থেকেও হার্দিকের সমালোচনা করেছেন ডিভিলিয়ার্স। তিনি বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা দলে যখন গ্রেম স্মিথ অধিনায়ক ছিল তখন দেখতাম কী ভাবে সবাইকে নিয়ে চলত। হার্দিক যদি রোহিত, বুমরাদের আরও ভাল ভাবে কাজে লাগাত, তা হলে ফল অন্য রকম হত। হার্দিকের ব্যাটিং আমার ভাল লাগে। তবে নেতৃত্ব দিতে গেলে মানসিকতা অন্য রকম হতে হবে। সেটা যত তাড়াতাড়ি হার্দিক শিখবে তত ওর পক্ষে ভাল।”
চলতি আইপিএলের নিলামের আগে গুজরাত থেকে হার্দিককে কেনে মুম্বই। তার পরে রোহিতকে সরিয়ে হার্দিককে অধিনায়ক করা হয়। এই সিদ্ধান্ত ভাল ভাবে নেননি সমর্থকেরা। মাঠে হার্দিককে টিটকিরি শুনতে হয়। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। তার প্রভাব খেলাতেও পড়ে। প্রথম দল হিসাবে প্লে-অফের লড়াই থেকে বিদায় নেয় পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা।