ম্যাচ জিতে উল্লাস কেকেআরের ক্রিকেটারদের। ছবি: আইপিএল।
তৃতীয় বারের জন্য আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে জিতেছে তারা। প্রথমে ব্যাট করে ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানে অল আউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ। রান তাড়া করতে নেমে ১০.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় কলকাতা।
চেন্নাইয়ের মাঠে কেকেআরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে পাঁচ কারণ কী কী?
১) স্টার্কের প্রথম স্পেল— প্রথম কোয়ালিফায়ারের মতো ফাইনালেও প্রথম স্পেলে আগুন ঝরালেন স্টার্ক। প্রথম ওভারেই অভিষেক শর্মাকে আউট করেন তিনি। পরের ওভারে আউট করেন রাহুল ত্রিপাঠিকে। প্রথম স্পেলে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন স্টার্ক। তাতেই কেকেআরের জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়।
২) রাসেলের বোলিং— স্টার্ক শুরুটা করলে শেষটা করেন আন্দ্রে রাসেল। বল করতে এসে প্রথম ওভারেই আইডেন মার্করামকে আউট করেন তিনি। পরের ওভারে আউট করেন আব্দুল সামাদকে। শেষ করেন প্যাট কামিন্সের উইকেট দিয়ে। ২.৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। তাঁর দাপটেই ১১৩ রানে অল আউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ।
৩) দুর্দান্ত ফিল্ডিং— গোটা ম্যাচ জুড়ে খুব ভাল ফিল্ডিং করলেন কেকেআরের ক্রিকেটারেরা। ৩০ গজ বৃত্তের ভিতরেই হোক, বা বাউন্ডারিতে, সব জায়গায় রান বাঁচান ফিল্ডারেরা। ভাল ক্যাচ ধরেন তাঁরা। ভাল ফিল্ডিংয়ে চাপে পড়ে হায়দরাবাদ।
৪) শ্রেয়সের অধিনায়কত্ব— আরও একটি ম্যাচে দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব করেন শ্রেয়স। টস হারা ছাড়া কিছু ভুল করেননি তিনি। পেসারেরা ভাল বল করছেন দেখে দলের সব থেকে ভাল বোলার বরুণ চক্রবর্তীকে মাত্র ২ ওভার বল করান শ্রেয়স। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নাম নয়, কাজের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
৫) বেঙ্কটেশের ব্যাটিং— ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন সুনীল নারাইন। আরও একটি উইকেট পড়লে চাপ পড়ত কেকেআরের উপর। কিন্তু বেঙ্কটেশ আয়ার তা হতে দিলেন না। প্রথন থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেন। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন। ২৬ বলে ৫২ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি।