সানরাইজার্স হায়দরাবাদ টিমটার প্রশংসা না করে উপায় নেই। ওদের চার জন বোলারের দশের ওপর উইকেট আছে। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত এসে রান করে দিচ্ছে। রিজার্ভ বেঞ্চের ক্রিকেটাররা লড়াইয়ের জন্য তৈরি। এতেই বোঝা যাচ্ছে টিমটার ড্রেসিংরুমে কতটা উদ্ভাবনীশক্তি রয়েছে আর আবহাওয়া কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ।
একটা লম্বা টুর্নামেন্টে টিম ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, সেটা অনেকেই বোঝে না। মুম্বই যদি ছ’জন প্রথম দলের ক্রিকেটারকে বসিয়ে জিততে পারে, হায়দরাবাদ যদি যুবরাজ সিংহ আর কেন্ উইলিয়ামসনকে বেঞ্চে রেখে প্লে-অফে উঠতে পারে, তা হলে বোঝাই যাচ্ছে, ম্যানেজমেন্ট পিছন থেকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। যে ব্যাপারটা সাধারণের চোখের আড়ালেই থাকে।
তা বলে এটা বলছি না যে কেকেআর এই সব ব্যাপারকে গুরুত্ব দেয় না। অবশ্যই দেয়। ওদের সব কিছুই ঠিকঠাক আছে। কিন্তু সুযোগ পেয়েও লিগ টেবলে প্রথম দুইয়ে না থাটাকা ওদের ভোগাতে পারে। কেকেআরের ব্যাটসম্যানরা ইদানীং একটু ঠান্ডা হয়ে আছে। তবে ওদের হাল্কা করে দেখলে চলবে না।
হায়দরাবাদের সঙ্গে শেষ ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নার একাই শেষ করে দিয়েছিল কলকাতাকে। স্পিনারদের বিরুদ্ধে ওর সুইপ এবং রিভার্স সুইপ কাজে দিয়েছিল। তবে গম্ভীরকে যতদূর জানি, ও আজ, বুধবারও স্পিনারদের আক্রমণে নিয়ে আসবে। আক্রমণাত্মক ফিল্ড প্লেসিংও দেবে।
চিন্নাস্বামীতে এ বার ১৬০ রান তাড়া করাও মাঝে মাঝে কঠিন হয়ে গিয়েছে। ব্যাটসম্যানরা শুরুটা দারণ করলেও মাঝের ওভারে ফিল্ডিং টিম ওদের চাপে ফেলে দিতে পারে। মাঝের ওভারগুলোর এই ঘূর্ণিতে অনেক টিমই তলিয়ে গিয়েছে। প্রথমে ব্যাট করাটা তাই চিন্নাস্বামীতে কিন্তু খারাপ প্ল্যান হবে না।
কলকাতা আর হায়দরাবাদ। এই দু’টো ভাল টিমের একটার কাছে বুধবার আইপিএল শেষ হয়ে যাবে। একটা লড়াকু টিম বিদায় জানাবে টুর্নামেন্টকে।