ঋষভ পন্থ। ছবি: আইপিএল।
রান পেলেন না দলের প্রথম দিকের স্বীকৃত ব্যাটারেরা। তবু গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো রান তুলল দিল্লি ক্যাপিটালস। চাপের মুখে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন ঋষভ পন্থ। তাঁকে সঙ্গ দিলেন অক্ষর পটেল। তাঁদের লড়াইয়ের সুবাদে দিল্লি করল ৪ উইকেটে ২২৪ রান। শুভমন গিলদের সামনে জয়ের জন্য ২২৫ রানের লক্ষ্য রাখল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি।
ঘরের মাঠে রান পেলেন না দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ এবং জেক ফ্রেজার ম্যাকগ্রুক। দু’জনকেই আউট করলেন সন্দীপ ওয়ারিয়র। ফ্রেজার করলেন ১৪ বলে ২৩। মারলেন ২টি করে চার এবং ছয়। পৃথ্বীর ব্যাট থেকে এল ৭ বলে ১১। তাঁর আউটেট সিদ্ধান্ত কিছুটা বিতর্কিত। নুর আহমেদ তাঁর দেওয়া ক্যাচ পরিচ্ছন্ন ভাবে ধরেছেন কিনা, তা টেলিভিশন রিপ্লেতে পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায়নি। তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেন। চার নম্বরে নেমে ব্যর্থ হলেন সাই হোপও (৫)। চাপের মুখে বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন অক্ষর। তাঁর ৪৩ বলে ৬৬ রানের ইনিংস ভরসা দিল দিল্লিকে। পিঞ্চ হিটার হিসাবে তাঁকে নামিয়েছিলেন পন্থেরা। দলের আস্থার মর্যাদা দিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ৫টি চার এবং ৪টি ছয় দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংস।
দিল্লির ইনিংসে বাড়তি মাত্রা যোগ করলেন অধিনায়ক পন্থ। বিশেষ করে ইনিংসের শেষ কয়েক ওভারে তাঁকে দেখা গেল চেনা বিধ্বংসী মেজাজে। মোহিত শর্মার শেষ ওভারেই শুধু ব্যাট হাতে তুললেন ৩০ রান। শেষ পাঁচটি বলের চারটিতে মারলেন ছক্কা। একটি চার। শেষ পর্যন্ত তিনি করলেন ৪৩ বলে ৮৮ রান। অপরাজিত ইনিংসে দিল্লি অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৫টি চার এবং ৮টি ছক্কা। ট্রিস্টান স্টাবস খেললেন ৭ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। মারলেন ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা। ১৬ ওভারের শেষে দিল্লির রান ছিল ১৪৩। মূলত পন্থের দাপটে শেষ চার ওভারে দিল্লি যোগ করল ৮১ রান। দলের ইনিংসকে মজবুত জায়গায় পৌঁছে দিয়ে পন্থ বুঝিয়ে দিলেন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার জন্য তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
গুজরাতের বোলারদের মধ্যে সফলতম সন্দীপ ৩ উইকেট নিলেন ১৫ রান খরচ করে। ৩৬ রানে ১ উইকেট নুরের। শুভমনের দলের আর কোনও বোলার উইকেট পেলেন না। ৪ ওভারের মোহিত দিলেন ৭৩ রান। আইপিএলের ইতিহাসে ৪ ওভারে এত রান এর আগে কোনও বোলার খরচ করেননি। ৩৫ রান খরচ করেও উইকেট পেলেন না রশিদ খান।