আগমন: শনিবার কলকাতা বিমানবন্দরে ধোনি। ছবি: পিটিআই।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কি এটাই শেষ আইপিএল? রবিবার ইডেনে কেকেআর-চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচের আগে জল্পনাটা আরও এক বার উস্কে দিলেন সিএসকে অধিনায়ক। শুক্রবার ঘরের মাঠ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদকে সাত উইকেটে হারানোর পরে সে রকমই ইঙ্গিত দেন ধোনি।
ডেভন কনওয়ের এ বারের আইপিএলে তৃতীয় অর্ধশতরান এবং রবীন্দ্র জাডেজার বল হাতে তিন উইকেটই সিএসকের জয়ের পথ প্রশস্ত করে দেয়। তাঁর দল জেতার পরে ধোনি যখন ডাগ আউট থেকে বেরিয়ে আসছেন, তীব্র চিৎকার ও জনসমর্থনে স্টেডিয়াম ভরিয়ে তোলেন চেন্নাইয়ের সমর্থকেরা। ধোনি বলেন, ‘‘খেলোয়াড় জীবনের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। দু’বছর পরে সমর্থকদের সামনে সুযোগ এসেছে এই স্টেডিয়ামে এসে ম্যাচ দেখার। সমর্থকেরা আমাদের মন ভরিয়ে দিয়েছেন বার বার।’’
এখনও তিনি উইকেটের পিছনে কতটা ক্ষিপ্র, তা আবারও প্রমাণ করেছেন শুক্রবার। যে ভাবে তিনি হায়দরাবাদের এডেন মার্করামের ক্যাচ ধরেন এবং মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে বিদ্যুৎগতিতে স্টাম্প করেন, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। সিএসকে অধিনায়ক মজা করে বলেছেন, ‘‘ওরা এখনও আমায় সেরা ক্যাচটা দিতে পারল না। অনেকে মনে করেন, আমরা উইকেটকিপাররা গ্লাভস পরি বলে সব কিছুই খুব সোজা। আমার মনে হয় ওটা দুরন্ত ক্যাচ ছিল। শুধু দক্ষতার জন্য বলছি না। কখনও কখনও ভুল সময়ে ভুল জায়গায় থাকলে এ রকম ক্যাচ ধরা যায়।’’ এই প্রসঙ্গে তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ এবং ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কথা মনে পড়ে যায় ধোনির। ‘‘অনেক দিন আগের কথা। এখনও মনে আছে একটা ম্যাচের কথা। রাহুল ভাই উইকেটকিপার ছিল সেই ম্যাচে। এ রকমই একটা ক্যাচ ধরেছিল। দক্ষতা দিয়ে এ রকম ক্যাচ ধরা যায় না। ভুল জায়গায় থাকতে হয় এ রকম ম্যাচ ধরতে গেলে।’’
শ্রীলঙ্কার তরুণ ক্রিকেটার মাথিশা পাথিরানার প্রশংসা করেন ধোনি। যিনি চার ওভারে দুটি উইকেট নেন। ‘‘ব্যাট করার সুযোগ সে ভাবে পাচ্ছি না। তা নিয়ে অবশ্য কোনও অভিযোগ নেই। এই ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম। কারণ আমার মনে হয়েছিল প্রচুর শিশির পড়তে পারে। পাথিরানা দারুণ বোলিং করেছে,’’ বলেছেন ধোনি।
তবে ধোনিদের দলের চোটের ধাক্কা এখনও রয়েছে। কোচ স্টিভন ফ্লেমিং বলেছেন, ‘‘বেন স্টোকসের চোট আছে। এক সপ্তাহ ওকে বাইরে থাকতে হবে।’’ তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, ধোনির হাঁটুর চোট নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। ‘‘এমএস দারুণ ভাবে ব্যাপারটা সামলাচ্ছে।’’