ফাইল চিত্র।
আইপিএলে আবার দক্ষিণী ডার্বির বাজনা বেজে উঠেছে। আজ, শুক্রবার মুখোমুখি হচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। যে ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় আছে সবাই।
এই আইপিএলে সব ম্যাচগুলোতেই ছোট ছোট সব লড়াই দেখা যায়। কোথাও ব্যাটার বনাম বোলার, কোথাও বা উইকেটকিপার বনাম উইকেটকিপার। সিএসকে বনাম আরসিবি ম্যাচে দেখা যাবে দুই অধিনায়কের লড়াই। এক দিকে চিরতরুণ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। অন্য দিকে, বিরাট কোহালি। অধিনায়ক হিসেবে যে কিছু প্রমাণ করতে চাইবে। ম্যাচে ব্যাটার বনাম বোলারের লড়াই তো হবেই। কিন্তু একটা ছোট্ট চালে ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে অধিনায়কেরাও। যেমন ফিল্ডিং সাজানো, বোলিং পরিবর্তন করা। এমনকি, ব্যাটিং অর্ডার বদলেও ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। দুটো দলই লিগ টেবলে ভাল জায়গায় আছে। তাই কারও উপরেই সে রকম চাপ থাকবে না। যেটা দেখা যায় মরণ-বাঁচন ম্যাচের সময়।
চেন্নাই অবশ্য আইপিএলের এই পর্বটা বেশ ভালই শুরু করেছে। আগের ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে সিএসকের আত্মবিশ্বাসও ভাল জায়গায় থাকবে। ভুললে চলবে না, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে চেন্নাইয়ের স্কোর একটা সময় ছিল ২৪ রানে চার উইকেট। চোট পেয়ে অম্বাতি রায়ডুর বেরিয়ে যাওয়াটা ধরলে পাঁচ উইকেট। সেখান থেকে দারুণ ভাবে ফিরে আসে ওরা। দেখে মনে হচ্ছে, ধোনির বিখ্যাত হার-না-মানা মানসিকতা ভীষণ ভাবে প্রভাব ফেলেছে দলে। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং রবীন্দ্র জাডেজা প্রথমে একটা লড়াকু স্কোরে পৌঁছে দেয় দলকে। ধোনির নেতৃত্বে দারুণ ভাবে নিজেকে মেলে ধরছে জাডেজা। এর পরে ডোয়েন ব্র্যাভোর আগ্রাসী ব্যাটিং গুরুত্বপূর্ণ কিছু রান যোগ করে সিএসকের স্কোরে।
আরসিবির ছেলেরা আবারও একটা ম্যাচে একশোর কম রানে আউট হয়ে গেল। বোঝাই যাচ্ছিল, কলকাতা নাইট রাইডার্স যদি আত্মহত্যার পথ বেছে না নেয়, তা হলে কোহালিদের জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। ঠিক তাই হল। আগের ম্যাচের এই ব্যাটিং বিপর্যয়টা অবশ্যই আরসিবিকে চিন্তায় রাখবে। অথচ এই দলটাতেই রয়েছে এই গ্রহের সেরা দুই ব্যাটার। আর দেবদত্ত পাড়িকলের মতো তরুণ এক জন ওপেনার। যে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার জন্য মুখিয়ে আছে।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আইপিএলের একটা বড় নিলাম আসছে। সেটার কথা মাথায় রেখে ম্যাক্সওয়েল বিশেষ ঝুঁকি নেবে বলে মনে হয় না। দেখেশুনেই শট খেলবে। সব মিলিয়ে বলতে পারি, আরসিবি হল এমন একটা দল, যাদের ব্যাটাররা প্রতিপক্ষ বোলারদের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারে।
শারজায় এ বারের আইপিএলে এটাই প্রথম ম্যাচ হতে চলেছে। এই মাঠটা দুবাই বা আবু ধাবির চেয়ে ছোট। পিচটাও ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ। তাই ছয়ের বন্যা দেখার জন্য তৈরি থাকুন। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে অভিজ্ঞতা বনাম অদম্য মানসিকতার এই লড়াইয়ে বেশ কিছু গাড়ির কাঁচ যে ভাঙবে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। (টিসিএম)