যুযুধান: রায়নাকে কি দেখা যাবে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে? টুইটার
প্রথম দুই দলের মধ্যে থেকে আইপিএল লিগ পর্ব শেষ করার একটা বড় সুবিধে আছে। সেটা হল, ফাইনালে ওঠার দুটো সুযোগ পাওয়া যায়। নিজেদের মধ্যে প্রথম ম্যাচ হেরে গেলেও আর একটা সুযোগ থেকে যায় ফিরে আসার। যে কারণে প্রথম দুই দলের মধ্যে থাকার জন্য মরিয়া লড়াই হয়।
আজ, রবিবার আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে যে দুটো দলের লড়াই দেখা যাবে, তারা কিন্তু শেষ ম্যাচ হেরে আসছে। যে কারণে ছন্দ ধরে রাখার ব্যাপারে একটু চিন্তায় থাকবে। চেন্নাই সুপার কিংস তো আবার পর পর কয়েকটা ম্যাচ হেরে প্লে-অফে খেলতে নামবে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ওদের ভরসা জুগিয়েছে, তারাই কিন্তু শেষবেলায় ডুবিয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে নামার আগে এই ব্যাপারটা ওদের চিন্তায় রাখবে। এ বারে দেখা যাচ্ছে, দিল্লি আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর— এই দুটো দল খুব ভাল ছন্দে আছে। আগের ম্যাচে শেষ বলে ছয় মেরে দিল্লিকে হারিয়েছিল ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু ঋষভ পন্থদের দলের যা শক্তি, তাতে ওরা ওই হারের যন্ত্রণা ভুলে ফিরে আসতে পারেই।
ঋষভ খুব ইতিবাচক ক্রিকেটার যে সামনের দিকে তাকাতে ভালবাসে। ও নিশ্চয়ই শিখেছে যে, বিপক্ষকে আটকানোর জন্য দলের সেরা দুই বোলারকে দিয়েই শেষ কয়েক ওভার বল করানো উচিত। তাই মনে হয়, আরসিবি ম্যাচের অভিজ্ঞতার পরে এখন থেকে বিপক্ষকে আটকে রাখার জন্য শেষের কয়েক ওভার অনরিখ নখিয়ে এবং কাগিসো রাবাডাই করবে। আবেশ খান খুবই ভাল বোলার। ও লড়তে ভয় পায় না। কিন্তু চাপের মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ জুটির উপরে ভরসা করাই ভাল।
অভিজ্ঞতার কথা বলতে মনে হল, প্লে-অফের জন্য চেন্নাই নিশ্চয়ই সুরেশ রায়নাকে ফিরিয়ে আনার কথা ভাববে। রায়না কিন্তু একাই ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে। মানছি, গত কয়েক বছরে দ্রুত গতির বলের সামনে সমস্যায় পড়েছে ও। কিন্তু যে কোনও জায়গা থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে রায়নার। হ্যাঁ, রাবাডা-নখিয়ে-আবেশ ওর বড় পরীক্ষা নেবে ঠিকই। কিন্তু ফাইনালে ওঠার দৌড়ে এই ঝুঁকিটা নেওয়াই যায়। এই আইপিএলের দুটো ম্যাচেই চেন্নাইকে হারিয়েছে দিল্লি। তৃতীয়বার কি চেন্নাইয়ের ভাগ্য ফিরবে? (টিসিএম)