ম্যাচ শেষ করলেন ধোনি টুইটার
ফের ফিনিশারের ভুমিকার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চার উইকেটে ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে ফের ফাইনালে উঠে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় চেন্নাই।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। টম কারেনের প্রথম বলেই বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন মইন আলি। ১৬ রান করে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় বলে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে চার মারেন ধোনি। চার বলে দরকার ছিল নয় রান। তৃতীয় বলেও চার মারেন চেন্নাই অধিনায়ক। ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে উইকেটের পিছন দিয়ে বল বাউন্ডারি টপকে যায়। এর পরের বল ওয়াইড করেন কারেন। তিন বলে মাত্র চার রান দরকার ছিল। পরের বলেই চার মেরে খেলা শেষ করেন ধোনি।
টস করতে এসে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। প্রথম বার অধিনায়ক হিসেবে কোয়ালিফায়ারে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিরুদ্ধে টস করতে এসে সে কথা স্বীকারও করে নিলেন। তবে যখন ব্যাট করতে নামলেন তখন একবারের জন্যও মনে হয়নি বড় মঞ্চে ঘাবড়ে গিয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক। বরং একজন নেতার ঠিক যা করা উচিত সেটাই করে গিয়েছেন। পরপর উইকেট হারিয়ে তাঁর দল যখন চাপে তখন ঠাণ্ডা মাথায় খেলে গিয়েছেন। শেষ অবধি ক্রিজে থেকেছেন। দলের রান পৌঁছে দিয়েছেন ১৭২-এ।
তবে ইনিংসের শুরুতে আক্রমণ করতে থাকেন পৃথ্বী শ। শিখর ধবন সাত রান করে আউট হওয়ার পরও একই মেজাজে খেলতে থাকেন পৃথ্বী। ৩৪ বলে ৬০ রান করে আউট হন দিল্লির ওপেনার। ব্যর্থ হন শ্রেয়স আইয়ার। ১ রান করেই আউট হন দিল্লির প্রাক্তন অধিনায়ক। ১০ রান করে আউট হন অক্ষর পটেল। একটা সময় ৮০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল দিল্লি। কিন্তু সামলে নেন ঋষভ ও শিমরন হেটমায়ার। দু’জনে ৮৩ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ৩৭ রান করে আউট হন হেটমায়ার। পন্থ অপরাজিত থাকেন ৫১ রান করে।
দু’টি উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড। ৪ ওভারে ২৯ রান দেন তিনি। রবীন্দ্র জাডেজা, মইন আলি ও ডোয়েন ব্রাভো পান একটি করে উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে ভাল শুরু করে চেন্নাই। ফ্যাফ দু’প্লেসি দ্রুত আউট হলেও দারুণ ব্যাট করেন রবিন উথাপ্পা ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। জুটি ভাঙেন টম কারেন। মিড উইকেটে ছয় মারতে গিয়ে শ্রেয়সের হাতে ক্যাচ দেন উথাপ্পা। দারুণ ভাবে ক্যাচ ধরে বাউন্ডারি টপকে যাওয়ার আগে শূন্যে বল ছুড়ে দেন দিল্লির প্রাক্তন অধিনায়ক। সামলে নিয়ে মাঠে ফিরে ক্যাচ ধরেন তিনি। উথাপ্পা ফেরার পর আউট হন শার্দূল ঠাকুরও। একই ভাবে ছয় মারতে গিয়ে শ্রেয়সের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। খাতা খোলার আগেই ফেরেন তিনি। পরের ওভারে রান আউট হন অম্বাতি রায়ডুও। দু’ রান নিতে গিয়ে শ্রেয়সের ছোড়া বলে আউট হন তিনি। ১ রান করে ফেরেন রায়ডু। শ্রেয়সের দারুণ ফিল্ডিংয়ের উপর ভর করে তিন উইকেট পায় দিল্লি। তবে উল্টো দিকে ভাল ব্যাট করতে থাকেন রুতুরাজ। ৫০ বলে ৭০ রান করে আউট হন তিনি। তবে বাকি কাজটা করে দেন চেন্নাই অধিনায়ক। ছয় বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
৩.৪ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নিলেও দলকে জেতাতে পারেননি টম কারেন। আবেশ খান ও আনরিখ নোখিয়া একটি করে উইকেট পান।