শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকেও চেন্নাইকে জিতিয়ে ফিরতে পারলেন না ধোনি। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১৬ রানে পরাজয়ের পর প্রশ্নের মুখে রান তাড়ার সময় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মানসিকতা, সিএসকে অধিনায়কের সাত নম্বরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত, রান তাড়ার সময় দেরিতে বড় শট নিতে যাওয়াকে মানতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। সুনীল গাওস্কর, কেভিন পিটারসেনদের মতে, রান তাড়ায় মোটেই সঠিক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এগোয়নি চেন্নাই।
মঙ্গলবার শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সঞ্জু স্যামসন, স্টিভ স্মিথ, জোফ্রা আর্চারের দাপটে ২১৬ রান তুলেছিল রাজস্থান। জবাবে ছয় উইকেটে ২০০ রানে থামে চেন্নাই সুপার কিংস। রান তাড়ার সময় ধোনি যখন নেমেছিলেন তখন ১৩.৪ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১১৪ তুলেছিল দল। অর্থাৎ, তখন ১০৩ রান দরকার ছিল। হাতে ছিল মাত্র ৩৮ বল!
স্যাম কারেন, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, কেদার যাদবের পরে সাত নম্বরে ধোনির ক্রিজে আসাকে খোঁচা দিয়ে সুনীল গাওস্কর বলেছেন, “এটা মোটেই অস্বীকার করার জায়গা নেই যে এর আগে স্যাম কারেনকে ব্যাটিং অর্ডারে এগিয়ে দেওয়ার সুফল ও পেয়েছিল। ছয় বলে ১৮ করেছিল কারেন। এই ম্যাচেও কয়েকটা ছক্কা মেরেছিল। কিন্তু তার পর ভেবেছিলাম ধোনিই নামবে। বিপক্ষ ২১৬ তুলেছে মানে তরুণ রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের জায়গায় ওরই আসা দরকার ছিল। যাতে প্রথম থেকেই ও শট নিতে পারে। না হলে ব্যাপারটা ধোনির পক্ষে মোটেই সহজ হওয়ার কথা ছিল না। ১৬০-১৭০ রান তাড়া করতে হলে তখন না হয় রুতুরাজকে নামানো যেত। কিন্তু পাঁচ উইকেট পড়ার পর ক্রিজের আসার মানে ও সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিল যে এই ম্যাচ আর জেতা সম্ভব নয়। আর সেটা কোনও রানই তাড়া করার সঠিক মানসিকতা নয়। ম্যাচ জেতা সম্ভব, এই বিশ্বাস নিয়েই রান তাড়া করতে নামা উচিত।”
আরও পড়ুন: কেন আরও আগে ব্যাট করতে নামলেন না? ধোনি বললেন...
আরও পড়ুন: ভাল শুরু না হলে পালটে যেতে পারে নাইট অধিনায়ক, বলছেন গাওস্কর
ধোনি যদিও জানিয়েছেন যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্যই তিনি পরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। তবে ব্যাট করতে নামার পরও তাঁর রান তাড়ার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গাওস্করের কথার রেশ টেনে কেভিন পিটারসেন বলেছেন, “ম্যাচ জেতার চেষ্টা তো করতে হবে। আর সানি ঠিক সেটাই বলছে। ফাফ দু’প্লেসি মারতে শুরু করেছিল, ধোনিও শেষে চালিয়ে খেলল। আর তাতে চেন্নাই মাত্র ১৬ রানে হারল। ওরা জয়ের লক্ষ্যের এত কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। আমরা চার-পাঁচ ওভারের একটা সময়ের কথা বলছি যখন ওরা শুধু খুচরো রান নিয়ে এগিয়ে চলেছিল। যার কোনও মানেই হয় না। অনায়াসেই আরও একটু আগে থেকে তাগিদ দেখাতে পারত ওরা। আর তা হলে সহজেই জিতে যেত। শেষ ওভারে ২০ রানের দরকার হলেও তো জেতা যেত।”
ধোনির পরীক্ষা-নিরীক্ষার তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়ে পিটারসেন বলেছেন, “এক্সপেরিমেন্ট কেন? এই বক্তব্যও গ্রহণযোগ্য নয় যে প্রতিযোগিতার শুরুর দিক বলে এটা করা হল। টি২০ ক্রিকেটে কিন্তু পরে এই সিদ্ধান্তের জন্য সমস্যায় পড়তে হতে পারে। টানা পাঁচ ম্যাচ হারলে তখন মাথায় আসবেই দুশ্চিন্তা যে ফাইনালে ওঠা যাবে তো? আমি অন্তত এই ধরনের ননসেন্স মানতে পারছি না।”