দুরন্ত শুরু করে হঠাৎ যেন কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে চেন্নাই সুপার কিংসের। প্রথমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং গত কাল বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে হারতে হয়েছে সিএসকে-কে। যে হারের পরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বলেছেন, তাঁর দলের শুরুর দিককার ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে।
আরসিবি-র কাছে এক রানে হারার পরে ধোনি বলেন, ‘‘ম্যাচটা দারুণ হয়েছে। আমাদের বোলাররা খুবই ভাল বল করে ওদের কম রানে আটকে রেখেছিল। কিন্তু আমাদের প্রথম দিকের ব্যাটসম্যানদের ভাল খেলতে হবে। বিপক্ষের বোলিংয়ের শক্তি-দুর্বলতা জানার পরে একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হয়। কিন্তু শুরুর দিকে কয়েকটা উইকেট চলে গেলে মাঝের দিককার ব্যাটসম্যানরা আর বোলারদের আক্রমণ করতে পারে না। ফলে পরিকল্পনা অনুযায়ী তখন খেলা যায় না।’’
আরসিবি-র বিরুদ্ধে একটা সময় মাত্র ২৮ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল চেন্নাইয়ের। সেখান থেকে ম্যাচটা ধরেন ধোনি। ৪৮ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন সিএসকে অধিনায়ক। মারেন পাঁচটি চার, সাতটি ছয়। ধোনির যে ইনিংস নিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের মধ্যে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বলা শুরু হয়েছে, বিশ্বকাপের আগে আবার নতুন করে পাওয়া যাচ্ছে ফিনিশারকে। ধোনি নিজে বলেছেন, ‘‘আমাদের একটা ব্যাপার মাথায় রেখে খেলতে হবে। আমি শুরুতে নেমেই বড় শট খেলতে পারি। আমি আউট হলেও অন্যরা কাজটা করে দেবে। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন কেউ বড় শট খেলে না। তখন বাকিদের উপর চাপ তৈরি হয়ে যায়।’’
আজ, মঙ্গলবার চেন্নাই খেলতে নামছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। যার আগে চেন্নাইয়ের কোচ স্টিভন ফ্লেমিং বলেছেন, ‘‘আরসিবি-র কাছে আমরা ১২ ইঞ্চির জন্য ম্যাচটা হেরে গেলাম। যে ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল।’’ ফ্লেমিং অবশ্যই শেষ বলে পার্থিবের করা রান আউটের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। ১৯তম ওভারে তিনটে সিঙ্গলস নেননি ধোনি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু ফ্লেমিং পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন, ‘‘ধোনি এই রকম পরিস্থিতি থেকে প্রচুর ম্যাচ বার করেছে। ওর উপর আমার পুরো ভরসা আছে। শেষ দিকে ধোনির কৌশল নিয়ে আমি কখনওই প্রশ্ন তুলব না। ধোনি যদি মনে করে, শেষ দিকে চার-পাঁচটা ছয় মেরে ও ম্যাচ জেতাবে, তা হলে সেটা করার ক্ষমতা ওর আছে। আমি সব সময় ওর পাশে থাকব।’’