ম্যাচ শেষে নিজের দলের বোলারদের সরাসরি আক্রমণ করে ফেললেন বিরাট। ছবি: পিটিআই।
২৪ বলে কেকেআর-কে করতে হত ৬৬ রান। অনায়াসেই ম্যাচ জেতার কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল আরসিবি। কিন্তু, অন্য চিত্রনাট্য লিখে গোটা ছবিই বদলে দিলেন আন্দ্রে রাসেল। এবং সেই সঙ্গে আরও একটা হারের রেকর্ড হয়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। হেসেখেলে জেতা ম্যাচও যে এ ভাবে হাত ফস্কে যাবে, তা কল্পনাতেই ছিল না রয়্যাল ক্যাপ্টেন কোহালির। ম্যাচ শেষে তাই বোলারদের সরাসরি আক্রমণ করে ফেললেন বিরাট। সাফ জানালেন, “শেষ ৪ ওভারে আমরা যে ভাবে বল করেছি, তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
এই নিয়ে চলতি আইপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচে হারের লজ্জাজনক রেকর্ড। পয়েন্ট টেবলের একেবারে নীচে এখন আরসিবি। ম্যাচের শেষে দলের বোলারদের তীক্ষ্ণ ভাষায় কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি বিরাট। তাঁর কথায়, “এ ভাবে বল করতে থাকলে এবং চাপের মুখে ধৈর্য দেখাতে না পারলে পয়েন্ট টেবলের নীচে থাকাটাই আমাদের প্রাপ্য।”
কেমন বল করেছেন আরসিবি-র বোলাররা? এক সময় জেতার জন্য কেকেআরের প্রয়োজন ছিল ১৮ বলে ৫৩ রান। এর পরই ডেথ ওভারে শুরু হয় রাসেল-ঝড়। ১৩ বলে ৪৮ করার পথে ৭টি ছয় হাঁকান তিনি। স্ট্রাইক রেট ৩৬৯.২৩। কোহালির মন্তব্য, “গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সাহসী বোলিং না করলে সব সময়ই অসুবিধায় পড়তে হবে। বিশেষত, বিপক্ষে যখন রাসলের মতো পাওয়ার-হিটারেরা থাকবেন।” স্কোরবোর্ডে ২০৫-৩ তুলেও শেষ চার ওভারের জন্যই যে ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে, সে জন্য আফশোস যায়নি বিরাটের। সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বোলারদের উদ্দেশে বলেছেন, “শেষ চার ওভারে আরও বুদ্ধি করে বল করতে হত। শেষের দিকে ওয়ান-ডাইমেনশনাল বোলিং, কোনও পরিকল্পনাই কাজে লাগেনি এবং আমরা চাপের মুখে ভেঙে পড়েছি। এটাই এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত আমাদের কাহিনি।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: রাসেলের বিরাট ঝড়ে উড়ে গেল কোহালির ব্যাঙ্গালোর
আরও পড়ুন: শক্তিতেই ভরসা নায়কের
রাসেলের দাপটে অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে নিল কেকেআর। ছবি: এপি।
এই হারের পরেও অবশ্য আশা ছাড়েননি আরসিবি ক্যাপ্টেন। বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত হতাশাজনক মরসুম হলেও নিজেদের সুযোগ নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব, নিজেদের উপরশুধুমাত্র এই বিশ্বাসটা রাখতে হবে।”
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি।ক্রিকেট খেলারসব আপডেট আমাদেরখেলাবিভাগে।)