ছবি এপি।
টানা ছ’ম্যাচে হারের পরে শনিবার আইপিএলে প্রথম জয়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গোলোরের অধিনায়ক বিরাট কোহালির কাছে সেই জয়ের মূল্য অপরিসীম।
মোহালিতে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে হারানোয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান কোহালি (৬৭) এবং এবি ডিভিলিয়ার্সের (অপরাজিত ৫৯)। এই জুটির ৮৭ রানই গড়ে দেয় আরসিবি-র জয়ের ভিত। চার বল বাকি থাকতে ১৭৪ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যান ডিভিলিয়ার্সরা।
আইপিএল টেবলে তাঁরা সকলের নীচে থাকলেও শনিবারের জয়ে খুশি কোহালি। বলেছেন, ‘‘জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছনোর অনুভূতিই আলাদা। তার উপর বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না। তবে এটা বলছি না যে, আগের সব ম্যাচেই তা হয়েছে। তবে কয়েকটা ম্যাচে আমাদের জেতা উচিত ছিল।’’
কোহালি আরও খুশি টানা হারের পরেও তাঁর দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে জয়ের খিদে দেখে। আরসিবি অধিনায়কের কথায়, ‘‘সত্যিই ভাল লাগছে এত বিপর্যয়ের পরেও ছেলেরা জয়ের জন্য ঝাঁপাচ্ছে দেখে। এই একটা কথাই ওদের জন্য উপযুক্ত। আর পঞ্জাব ম্যাচে মনে হয়েছিল ওরা ১৯০ করলেও লড়াইটা করা যাবে। সেখানে ১৭০ রানে ওদের বেঁধে রাখা দারুণ ব্যাপার। সঙ্গে ৮ ওভারের মধ্যে চারটি উইকেট পাওয়াও। তাও মাত্র ৬০ রান দিয়ে।’’
শনিবার ম্যাচের সেরা ডিভিলিয়ার্সের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই একটা জয়ের জন্য আমাদের দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হল। শেষ পর্যন্ত যে জিতলাম তাতে দলের প্রত্যেকে খুশি। হতে পারে ঠিক রাস্তায় হাঁটার জন্য এটা খুবই ছোট একটা পদক্ষেপ। কিন্তু একইসঙ্গে এটা আমাদের কাছে অন্তত বিরাট ব্যাপারও।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘নিজের ব্যাপারে বলব, দলের সকলের কাছ থেকে সাহায্য আর সম্মান পাচ্ছি। যা এগিয়ে যেতে পারছে। আমার দরকার ছিল শুধু একটা ভাল ইনিংসের। জানতাম সেটা এলেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাব। আশা করি এ বার এই ছন্দটা ধরে রাখাও সম্ভব হবে।’’ ডিভিলিয়ার্স আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে গত বছরই অবসর নিয়েছেন। এখন তাঁর লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট উপভোগ করে এই মঞ্চেই নিজের ক্রিকেট জীবন দীর্ঘায়িত করার। তা নিয়ে ডিভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘‘১৫ বছর টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছি। তার পরে ১০-১১ মাস ধরে ক্রমাগত খেলে যাওয়াটা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই ক্রিকেটেরই একটা মাত্র ফর্ম্যাটে খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছি। যতটা সম্ভব নিজেকে সেরা জায়গায় রেখে।’’
ডিভিলিয়ার্স খুশি সতীর্থ ডেল স্টেন দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ায়। আরসিবি-র অস্ট্রেলীয় পেসার নেথান কুল্টার-নাইল পিঠের সমস্যায় ছিটকে যাওয়ায় স্টেনকে নিয়েছে আরসিবি। যা নিয়ে ডিভিলিয়ার্সের মন্তব্য, ‘‘ডেলকে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা দারুণ। আমরা জানি ও পারবে। আর একটা কথা আমি এখনই বলে দিতে পারি যে, প্রতিটি বলের জন্য ও নিজের দুশো ভাগ দেবে।’’ ডিভিলিয়ার্স জানিয়েছেন প্রতিযোগিতার বাকি ম্যাচগুলিতেও জেতা তাঁদের এই মুহূর্তে একমাত্র লক্ষ্য। বলেছেন, ‘‘আপাতত মুম্বই ম্যাচটা নিয়ে আমরা সবাই ভাবছি। ওয়াংখেড়ে আমাদের কাছে এতটাই প্রিয় একটা স্টেডিয়াম যে, ওখানে ভাল খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’’
পঞ্জাবের অধিনায়ক আর অশ্বিন শনিবারের হারের জন্য ফিল্ডিং ঢিলেমিকে দায়ী করেছেন। বলেছেন, ‘‘খারাপ ফিল্ডিংয়ের জন্যই এই হার। তা ছাড়া শিশিরও একটা ব্যাপার। প্রথম পর্বে একেবারেই শুকনো উইকেটে খেলা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে কিন্তু ব্যাট করাটা অনেক সহজ
হয়ে গিয়েছিল।’’