দু’ওভার বাকি থাকতেই কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের রান টপকে গিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল কেকেআর। টার্গেট ছিল ১৮৪। সেই টার্গেট ২ ওভার বাকি থাকতে অনায়াসে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে তুলে দিল কেকেআর।
জিতে অঙ্কের হিসেবে এখনও প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল কেকেআর। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এল নাইটরা। কোন মন্ত্রে এল এই মসৃণ জয়? দেখে নেওয়া যাক।
২২ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে লিনকে প্রায় থামানোই যাচ্ছিল না। লিনের ভাল শুরু কেকেআরের জয়ের বড় কারণ। চতুর্থ ওভারে ক্রিস লিনের ব্যাট থেকে এল বাউন্ডারির হ্যাটট্রিক। কেকেআরকে দুরন্ত মোমেন্টাম দেন লিন।
১৪ বলে ২২ রান করলেন উথাপ্পা। লিন আউট হওয়ার পর শুভমনের সঙ্গে খেলে ম্য়াচের রাশ আলগা হতে দেননি। এক ওভারে একটা বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি আসে কর্নাটকির ব্যাট থেকে।
ক্রিস লিন দারুণ একটা শুরু করলেও ম্যাচের আসল নায়ক কিন্তু শুভমন। ঘরের মাঠে ৪৯ বলে অপরাজিত ৬৫ করলেন ফ্রন্টফুট, ব্যাকফুট দুয়েতেই শক্তিশালী তরুণ। পাঁচটি চার ও দু’টি ছক্কা-সহ ইনিংসকে রাজকীয় বললে ভুল হবে না।
পঞ্জাব ম্যাচে কেকেআরের সব চেয়ে বেশি ভয় ছিল ওদের দুই ওপেনারকে নিয়ে। কে এল রাহুল এবং ক্রিস গেল। শুক্রবার দু’জনেই ব্যর্থ।
দুই ওপেনারকেই ফিরিয়ে দিল কেকেআরের নতুন পেসার সন্দীপ ওয়ারিয়র। কেরলের এই পেসারের হাতে গতি আছে, সেই গতিই প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিল রাহুলদের।
রাসেল ও শুভমনের জুটি বেশ পোক্তই ছিল এ দিনের ম্যাচে।গিলের সঙ্গে ২৮ বলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ হয়ে গিয়েছিল রাসেলের।
চারে খেলতে নেমে ১৪ বলে ২৪ রান করে দলকে খানিকটা এগিয়ে দিয়েছিলেন রাসেল।
দীনেশ কার্তিক-শুভমন গিলের পার্টনারশিপও ছিল যথেষ্ট ভাল।
অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ফের ভরসা দিলেন। দীনেশ কার্তিকও ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে মাতিয়ে দিলেন।
চতুর্থ ওভারে বল করতে এসে মাত্র চার রান দেন নারাইন।এ দিন তিনি কেকেআরের বোলারদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে সফল হয়েছেন।