চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ঘরের মাঠে ফের হারল নাইটরা। তার আগের ম্যাচেও ঘরের মাঠে হেরেছে সৌরভের দিল্লির দলের কাছে। টানা তিন ম্যাচে হার। অথচ আইপিএলের শুরুটা তো ভালই ছিল কেকেআরের জন্য। কোথায় ভুল হচ্ছে নাইটদের? কোন স্ট্র্যাটেজির জন্যই পিছিয়ে পড়ছে নাইট রাইডার্স।
প্রথমত কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং শক্তি খুব একটা ভাল কাজ করছে এমনটা নয়। কোনও ম্যাচে কুলদীপ ভাল খেলছেন, কোনও ম্যাচে হ্যারি গার্নি, কখনও বা সুনীল নারাইন। বোলিং স্তম্ভের প্রত্যেকেই ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেললে এতটা সমস্যায় পড়তে হত না।
কুলদীপের উইকেট পাওয়ার ক্ষমতায় কেমন যেন ধাক্কা লেগেছে। যা শুধু কেকেআরকে নয়, বিশ্বকাপের আগে ভারতকেও চিন্তায় রাখবে।
যে পিচে সুনীল নারাইন এত ভাল বল করলেন, সেখানে সাফল্য পেলেন না আর কোনও স্পিনারই। শেষ দু’ওভারে ২৪ রান আটকাতে পারেননি গার্নি-পীযূষরা।
দলে ভাল কোনও পেসার না থাকাটা কেকেআরের পিছিয়ে যাওয়ার বড় কারণ। চোট সমস্যাতেও ভুগতে হয়েছে দলকে। শুরুতে নতুন বলে উইকেট তুলে নিতে পারবেন, এমন কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।
আন্দ্রে রাসেলের চওড়া ব্যাটে ভর করে একের পর জয়ের মুখ দেখেছে তাঁরা। তিনি ব্যর্থ হলেই ভেঙে পড়েছে দল। অতিরিক্ত রাসেল নির্ভরতায় ভুগছে নাইট বাহিনী। রাসেল ব্যর্থ হলেই আর সে ভাবে রান উঠছে না।
চার নম্বরে বা তিন নম্বরে হোক নীতীশ রাণা প্রথম দিকে ভাল খেললেও শেষ কয়েকটি ম্যাচে একেবারেই রান পাননি।
গোটা দলে ধারাবাহিকতার অভাব একটা বড় সমস্যা। শৃ্ঙ্খলার অভাবও রয়েছে খানিকটা। একটু অগোছালো মনে হয়েছে নাইটদের।
অধিনায়ক হিসাবে দীনেশ কার্তিক শেষ কয়েকটা ম্যাচে একেবারেই ব্যর্থ। দল সাজাতে ভুল হয়ে যাচ্ছে।
রবীন উথাপ্পা একেবারেই বড় রান পাচ্ছেন না। উথাপ্পার শেষ পাঁচ ইনিংসের রান ৩৩, ২৬ ন.আ., ১১, ২৮, ০।
রবীন, কার্তিক, রাণারা তিন-চার-পাঁচ নম্বর জায়গা ধরে রাখায় ফর্মে থাকা শুভমন গিলকে সাতে নামতে হচ্ছে। যা ছন্দহীন মিডল অর্ডারকে আরও সমস্যায় ফেলছে।
ডেথ ওভারে রান তুলতেই পারছেন না নাইটরা। এ ছাড়া তারুণ্যকেও কাজে লাগাতে পারছেন না ঠিক মতো। যেখানে ‘বুড়ো’ ধোনি ইমরান তাহিররা ম্যাচ বের করে নিয়ে যাচ্ছেন, সেখানেই পিছিয়ে পড়ছেন নাইটরা।