২০১০ সালের পর থেকে মুম্বইকে নিজেদের মাঠে হারাতে পারেনি চেন্নাই। মুম্বই খুব ব্যালান্সড দল। যে কোনও পরিস্থিতিতে খেলতে পারে রোহিতের দল, এটা যেমন ঠিক, কিন্তু চেন্নাইয়েও ভাল ক্রিকেটারের অভাব তো নেই। তা হলে কেন পিছিয়ে পড়ল সুপার কিংস?
টস জিতে ঘূর্ণি পিচে ধোনিরা আটকে গেলেন চার উইকেটে ১৩১ রানে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ছয় উইকেটে হেরে গেলেন ধোনিরা।
ঘূর্ণি পিচে ঠিকঠাক বোলিং ভারসাম্য বজায় রাখতে পেরেছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কোচ জয়বর্ধনেরও ভূমিকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
চিদম্বরম স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের হারের ফাঁড়া ন’বছরেও কাটল না। বরং মুম্বইয়ের চমৎকার ব্যাটিং অর্ডার পিছিয়ে দিল সিএসকে বাহিনীকে। তাই অধিনায়ক হিসাবে এই ম্যাচে মাহির থেকে এগিয়ে রইলেন রোহিত শর্মাই।
লেগস্পিনার রাহুল চাহারের চার ওভারে ১৪ রানে দু’উইকেট তুলে নেওয়া জয়ের একটা বড় কারণ।
৫৪ বলে অপরাজিত ৭১ রান করে ম্যাচ জয়ের অন্যতম কারণ হয়ে উঠলেন সূর্যকুমার যাদব। কঠিন পিচে কী ভাবে ব্যাট করতে হয়, তা যেন শিখিয়ে দিলেন প্রাক্তন এই নাইট। ঈশান কিষাণ ও হার্দিক পাণ্ড্য সঙ্গত দিয়েছেন সূর্যকে।
পাওয়ার প্লে-কে কাজে লাগিয়েছে মুম্বই। রাহুল কাজে লাগিয়েছেন সুযোগকে। অন্যদিকে, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারেনি চেন্নাই।
ওপেন করতে নামা ফাফ দু’ প্লেসি ৬ ও শেন ওয়াটসন ১০ রান করে ফিরে যান। তাঁদের ব্যর্থতায় ভুগল দল।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৫ রান করে ফেরেন সুরেশ রায়না। পর পর তিন ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার ফলে চেন্নাই বড় রান তুলতে পারেনি।
সিএসকের বড় ভরসা সুরেশ রায়নাকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিলেন জয়ন্ত যাদব। ঘূর্ণি পিচ ও মন্থর পিচে ফিঙ্গার স্পিনার চমৎকার বল করেছেন।
২৬ বলে ২৬ রান করে কিছুটা ভরসা দেন মুরলী বিজয়। ধোনি ২৯ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত রইলেন, রায়ুডু ৩৭ বলে ৪২ করে। কিন্তু তবুও সিএসকে বড় স্কোর গড়ার থেকে পিছিয়ে পড়ে। মাহির হাত থেকে একবার ব্যাটও ছিটকে যায়।
চেন্নাই বোলারদের মধ্যে ঘূর্ণি পিচে সবচেয়ে বেশি জ্বলে উঠতে পারতেন হরভজন সিংহ, কিন্তু কাজে আসেনি তাঁর অভিজ্ঞতা। চেন্নাইয়ের ফিল্ডিংও খুব একটা ভাল হয়নি এই ম্যাচে।
তবে এ দিনের হারের সবচেয়ে বড় কারণ বোধহয় ধোনি নিজেই। ম্যাচ শেষের পর তিনি স্বীকার করে নেন, পিচ ঠিকমতো বুঝতে পারেননি তিনি।