ইডেন গার্ডেন্সে সানরাইজার্স ১৮২ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল নাইটদের কাছে। ১৯.৪ ওভারে ৪ উইকেটে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৮৩ রান তুলে নেয় কেকেআর। কী কী কারণে দু’বল বাকি থাকতে, ছ’উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের পথে এগোল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আন্দ্রে রাসেলের ঝোড়ো ইনিংস নাইটদের জয়ের অন্যতম কারণ। রাসেল ১৯ বলে ঝোড়ো ৪৯ রান করে মরসুমের প্রথম জয় এনে দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে।
শেষ ওভারে শুভমন গিল দু’টি ছয় মেরে নাইটদের লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছেন। রাসেলকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন শুভমন।
টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। ২০০ রানের আগেই সানরাইজার্সদের বেঁধে ফেলাটাও একটা বড় কারণ তো বটেই জয়ের।
ভুবনেশ্বর কুমার, সিদ্ধার্থ কল, রশিদ খান প্রত্যেকেরই চার ওভার শেষ হয়ে গিয়েছিল। ১৯তম ওভারে তাই বেশির ভাগ রান তুলে নিতে পেরেছেন রাসেল।
নারাইনের আঙুলে চোট লাগায় এ দিন ওপেন করতে পারেননি। তাঁর জায়গায় ওপেন করতে নামানো হয় নীতীশ রানাকে। সেই সিদ্ধান্তেও ভুল ছিল না। ৪৭ বলে ৬৮ রান করেন তিনি এদিন।
রবীন উথাপ্পা যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন নীতীশকে।
ডেভিড ওয়ার্নার যখন আউট হন, দলের রান তখন ১৪৪। ওয়ার্নার নাইট বোলারদের সামলাতে পারলেও ইউসুফ পাঠান, মণীশ পাণ্ডেরা প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আন্দ্রে রাসেল, লকি ফার্গুসনদের খেলতে পারেননি।
সানরাইজার্সের বোলাররা ডেথ ওভারে ছাপ ফেলতে পারেননি। তারই সুযোগে রাসেল-শুভমন জুটি নাইটকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দেন। ‘বার্থডে বয়’ শাকিবকে দু’টো ছয় মেরে খেলা শেষ করে দেন শুভমন।