দাদার কাছে ঘরের মাঠে হেরে গিয়েছে তারা। চেন্নাইয়ের সঙ্গে প্রথম ম্যাচেও পরাজয়। এর উপর রয়েছে চোট আঘাত। সব মিলিয়ে কার্যত বিধ্বস্ত নাইট শিবির। ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তাঁরা। আজ ইডেন গার্ডেন্সে জিততে না পারলে লিগ টেবিলে অনেকটাই পিছনে চলে যাবে কলকাতা। জিততেই হবে এই প্রত্যয় নিয়ে কাদের নিয়ে টিম গড়তে চলেছে কেকেআর।
এগারো নম্বরে লকি ফার্গুসনের বদলে ফেরানো উচিত হ্যারি গার্নিকে। গার্নিই আজ পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। তাঁর স্লো বলের হদিশ পাওয়াও মুশকিল।
দশ নম্বরে নামার কথা প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের। আগের চেয়ে অনেক ভাল বল করছেন। গতি আর মানসিকতার জন্য নজর কেড়েছেন তিনি। সবুজ পিচে কৃষ্ণের গতি পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
নয় নম্বরে নামার কথা কুলদীপ যাদবের। তাঁর কব্জির মোচড় বিপক্ষের ভয়ের কারণ হতে পারে। মাহির উইকেট নিতে মুখিয়ে রয়েছেন চায়নাম্যান।
আট নম্বরে নামার কথা পীযূষ চাওলার। তাঁর গুগলি সামলাতে ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে গত ম্যাচগুলিতে।
গত ম্যাচে দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল শুভমনের। শুভমন গিল সাত নম্বরে নামতে পারেন।মিডল অর্ডার আরও বেশি শক্তিশালী হবে তিনি থাকলে।
ছয় নম্বরে নামার কথা আন্দ্রে রাসেলের। অনুশীলনে আসতে পারেননি। আইসপ্যাক নিচ্ছেন। চোট রয়েছে রাসেলের। ভোগাচ্ছে সে চোট। পুরো সুস্থ না থাকলে বাহুবলী ব্যাটসম্যানের বদলে কার্লোস ব্রেথওয়েট নামতে পারেন।
পাঁচ নম্বরে নামার কথা অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের। মাহির অভিজ্ঞতা বেশি হলেও তাঁর দলকে চাপে ফেলতে দীনেশের শীতল মস্তিষ্ক কাজে লাগবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়াও উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান দলের বড় ভরসা।
চার নম্বরে নামতে পারেন নীতীশ রাণা। তিনি ব্যর্থ হলে দল সমস্যায় পড়েছে। মাথা ঠান্ডা হওয়ায় সিএসকের বোলারদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, প্রয়োজনে নারাইনের বদলে তিনি ওপেন করতেও পারেন।
তিন নম্বরে নামার কথা রবীন উথাপ্পার। প্রয়োজনে দ্রুত রান তুলতে পারেন পার্টনারশিপের ক্ষেত্রেও তাঁর রসায়ন রাণা, নারাইন, কার্তিকের সঙ্গেও বেশ ভাল।
চোটের জন্য আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি সুনীল নারাইন। যার ফল ভুগতে হয়েছে দলকে। রবিবারের ম্যাচে নারাইনকে খেলানোর চেষ্টা করবেই দল। তিনি থাকলে ঝোড়ো ইনিংসে ভাজ্জিদের ভয় পাওয়াতে পারবেন বলেই আশা নাইটদের।
ক্রিস লিনের ফ্লু নিয়ে উদ্বেগের মেঘ কাটেনি কেকেআর শিবিরে। সুস্থ থাকলে লিনেরই নামানোর কথা। তিনি সুস্থ না থাকলে জো ডেনলি ফের নামবেন ওপেন করতে। লিন ও নারাইনের ওপেনিং জুটি পাওয়ারপ্লেতে যে রকম রান করে, তাই লিনের সম্ভাবনা বেশি।