বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে পজিটিভ এনার্জিতে ফুটছে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির। আজ জয়পুরে নাইটদের সামনে অজিঙ্ক রাহানের রাজস্থান রয়্যালস। দিল্লি ম্যাচ বাদ দিলে কলকাতা নাইট রাইডার্স এখনও পর্যন্ত বিপক্ষকে ভালই চাপে রেখেছে। আজ রাজস্থানকে তাদের ঘরের মাঠে হারাতে হারাতে কোন ১১ জনকে নামাবে নাইটরা?
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ থাকতে পারেন এগারো নম্বরে। আগের চেয়ে অনেক ভাল বল করছেন। চাপের মুখে ভাল বল করার ক্ষমতা রাখেন। নেটে নিয়মিত অনুশীলন করছেন রাসেলের সঙ্গে।
লকি ফার্গুসন: নিউজিল্যান্ডের এই ক্রিকেটারটি বল হাতে নজর কেড়েছেন জাতীয় দলের হয়ে। দেশের হয়ে চল্লিশের বেশি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। বিগত ম্যাচে লকি খুব একটা খারাপ খেলেননি।
নয় নম্বরে থাকার কথা কুলদীপ যাদবের। চায়নাম্যানের ভেল্কিতে বিপক্ষের কটা উইকেট পড়ে সেটাই দেখার। গত ম্যাচেও দারুণ পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। কোহালিকে আউট করেছেন গত ম্যাচে।
আট নম্বরে নামার কথা পীযূষ চাওলার। বল হাতে বিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারেন।
সাত নম্বরে নামার কথা শুভমন গিলের। আইপিএলের প্রথম ম্যাচে পর পর দু’টি ছয় মেরে দলকে জয়ের পথ দেখিয়েছেন তিনি। চাপের মুখে দলতে জেতানোর ক্ষমতাও রাখেন।
ছয়ে নামতে পারেন ‘দ্য ওয়ান অ্যান্ড ওনলি’ আন্দ্রে রাসেল। পর পর ম্যাচ জেতানোর তিনি। তিনি খেলবেন না এমনটা ভাবাই যায় না। তাঁর ব্যাটের জাদুতেই আইপিএল জেতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে নাইটরা।
পাঁচ নম্বরে নামার কথা অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের। জিততে মরিয়া কোহালিদের চাপে ফেলতে দীনেশের শীতল মস্তিষ্ক কাজে লাগবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়াও উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান দলে বড় ভরসা।
চারে নম্বরে নামতে পারেন নীতীশ রাণা। এর আগের ম্যাচগুলিতে তাঁর ব্যাটে ভর করে অনেকটাই এগিয়েছে নাইটরা। গত ম্যাচে ৩৭ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।
তিন নম্বরে নামতে পারেন রবীন উথাপ্পা। গত ম্যাচগুলিতে চাপের মুখে যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। নীতীশ রাণার সঙ্গে জুটিও চমৎকার। গত ম্যাচে জরুরি ৩৩ রান করেছেন।
লিনের সঙ্গে ওপেন করার কথা সুনীল নারাইনের। চোট সারিয়ে গত ম্যাচেই ফিরছেন তিনি। বোলিং তো বটেই, পিঞ্চহিটার সুনীলকে বড় রান গড়ার জন্যও কেকেআরের প্রয়োজন। গত ম্যাচে এ বি ডেভিলিয়ার্সকে ফিরিয়েছিলেন তিনি।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে ওপেন করার কথা ক্রিস লিনের। গত ম্যাচে ৪৩ রানের একটি নির্ভরযোগ্য ইনিংস খেলেছেন তিনি।