নায়ক: ৪৩ বলে ৮৯ রান করে রাজস্থানকে জেতালেন বাটলার।
ওয়াংখেড়ে অপেক্ষায় ছিল কায়রন পোলার্ডের তাণ্ডব দেখবে বলে। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে নায়ক হয়ে গেলেন জস বাটলার। ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানের দুরন্ত ইনিংস চার উইকেটে ম্যাচ জেতাল রাজস্থান রয়্যালসকে। প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তোলে ১৮৭-৫। যে রান তিন বল বাকি থাকতে টপকে যায় রাজস্থান। বাটলার করেন ৪৩ বলে ৮৯।
তবে জয়ের খুব কাছে এসেও হেরে যেতে বসেছিল রাজস্থান। মুম্বইয়ের রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় এক উইকেটে ১৪৭ স্কোর ছিল তাদের। কিন্তু বাটলার আউট হওয়ার পরে ধস নামে রাজস্থান ব্যাটিংয়ে। একটা সময় তো ছয় উইকেট পড়ে গিয়েছিল ১৭৪ রানে। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ছয় রানের। হার্দিক পাণ্ড্যের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন রাজস্থানের শ্রেয়স গোপাল। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে সে ক্যাচ ধরা যায়নি। এর পরে তৃতীয় বলে চার মেরে ম্যাচ জিতিয়ে দেন গোপাল।
আগের ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছিলেন পোলার্ড। কিন্তু শনিবার ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইনিংসকে টানলেন কুইন্টন ডি’কক (৫২ বলে ৮১)। পোলার্ড ১২ বলে ছয় করে আউট হয়ে যান। রাজস্থান ব্যাটিংয়ে পুরোটাই প্রায় বাটলার-শো। আটটি চার এবং সাতটি ছয় এসেছে ইংল্যান্ডের এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। দু’ম্যাচ আগে মুম্বইকে স্মরণীয় জয় উপহার দেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার আলজ়ারি জোসেফ এ দিন তিন ওভারে দিলেন ৫৩ রান। আলজ়ারির এক ওভারে ২৮ রান তোলেন বাটলার। পরে ম্যাচের সেরা পুরস্কার নিতে এসে বাটলার বলেন, ‘‘জীবনের সেরা ফর্মে ব্যাট করছি। তাই ওই সময় আউট হয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।’’ বাটলার আউট হওয়ার পরে একটা সময় মুম্বই জয়ের রাস্তায় ফিরে এসেছিল। যা নিয়ে বাটলার বলেছেন, ‘‘আইপিএলে আমরা দেখেছি, সামান্য সুযোগ পেলেই দলগুলো কী ভাবে লড়াইয়ে ফিরে আসে।’’ এ দিন সঞ্জু স্যামসন কিপিং করায় বাটলার আউফিল্ডেই ফিল্ডিং করেন। এবং সেখানেও তিনটে ক্যাচ ধরেন তিনি। পরে বাটলার বলেন, ‘‘গ্লাভস ছাড়া ফিল্ডিং করতে একটু অস্বস্তি হচ্ছিল। তবে আউটফিল্ডে ফিল্ডিং করাটাও আমি উপভোগ করি।’’
রাজস্থান এই ম্যাচ জেতায় মুম্বই কিন্তু প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে একটু ধাক্কা খেল। সাত ম্যাচে রোহিত শর্মাদের পয়েন্ট দাঁড়াল আট। রাজস্থান তাদের দ্বিতীয় ম্যাচটা জিতে কোনও ভাবে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখল। রাজস্থান অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে বলছিলেন, ‘‘আমাদের এখন সব ম্যাচ জিততে হবে। গত বারও এই রকম পরিস্থিতি ছিল।’’