মাস দু’য়েকের টুর্নামেন্ট। তার মধ্যেই কেউ হয়ে যান হিরো। কেউ বা আশা জাগিয়েও হারিয়ে যান স্পটলাইট থেকে। তেমনই একজনের কথা জেনে নেওয়া যাক।
আইপিএলে কেউ ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করে আসছেন। আবার এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা পরিচিত হয়ে আছেন শুধুমাত্র একটি আইপিএলের জন্য, তেমনই এক জন হলেন পল চন্দ্রশেখর ভলথাটি।
যিনি মহারাষ্ট্র দলেই সুযোগ পেতেন না, তিনি আইপিএল-এ সুযোগ পেয়ে দেখিয়েছিলেন প্রতিভা কখনও চাপা থাকে না।
২০১১-এর আইপিএল-এ প্রীতি জিন্টার কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। অধিনায়ক অ্যাডাম গিলক্রিস্টও তাঁর খেলার প্রশংসা করেছিলেন।
তাঁর একটি ম্যাচে ১২০ রান আজও বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। মাত্র ৬৩ বলে ১৯ চার ও দুই ছয়ে মেরে ১২০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে সেই ইনিংসের পর আর তেমন ভাবে ফিরে আসতে পারেননি তিনি।
সেই ম্যাচে তাঁর সঙ্গে খেলেছিলেন দীনেশ কার্তিক। পল হারিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু দীনেশ কার্তিক এখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক।
২০১১ সালের আইপিএল-এ তাঁর রান ছিল চোখে পড়ার মতোই। মহারাষ্ট্রের এই ব্যাটসম্যান রাতারাতি হিরো হয়ে উঠেছিলেন সেই বার।
১৪টি ম্যাচে সে বার তাঁর মোট রান ছিল ৪৬৩। স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৯৮।
আইপিএলে ভলথাটির ব্যাট থেকে এসেছে ৫০৫ রান। ২৩টি ম্যাচ থেকে তিনি এই রান সংগ্রহ করেছিলেন।
২০১২-র আইপিএল পর্যন্ত ভলথাটি ওপেন করতেন পঞ্জাবের হয়ে। কিন্তু তার পর? হারিয়ে গেলেন ভলথাটি। ২০১২-র পর তাঁকে আর কোনও আইপিএল ফ্যাঞ্চাইজিই দলে নেয়নি। সেই বারে ৬ ম্যাচে মাত্র ৩০ রান করেছিলেন তিনি।
হিমাচল প্রদেশের হয়ে ২০১১-১২ মরশুমে খেলেছেন তিনি। ভলথাটি এর পর স্পোর্টস কোটায় এয়ার ইন্ডিয়ায় চাকরি পান। এয়ার ইন্ডিয়ার ক্রিকেট টিমে নিয়মিত খেলেন তিনি।
২০১৩ সালে দীর্ঘদিনের বান্ধবী ক্যারলকে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি মেয়েও রয়েছে। নাম আরাধনা।