মারমুখী রাসেল। ছবি: এএফপি।
ঝড় তুলেও কেকেআরকে জেতাতে পারলেন না আন্দ্রে রাসেল। তিনি শেষমেশ খেলবেন কি না, তা নিয়েই তো প্রশ্ন ছিল ম্যাচের আগেরদিন। শুক্রবার মাঠে নামলেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য। দলের প্রয়োজনের সময়ে নেমে ইডেনে জ্বেলে দিলেন হাজার ওয়াটের আলো। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার যখন ইডেনে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছেন, তখন মনে হচ্ছিল অসম্ভবকে সম্ভব করা যাবে। কারণ আরসিবি প্রথমে ব্যাট করে ২১৩ রানের পাহাড় তুলেছিল। এই রান তাড়া করতে নেমে একসময়ে রীতিমতো ধুঁকছিল কেকেআর। রাসেল নামার পরেই ইনিংসে গতি আসে। ২৫ বলে ৬৫ রান করে রাসেল যখন ফিরলেন, তখন ম্যাচের ভাগ্য পড়া হয়ে গিয়েছে ইডেনের। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল দুটো বাউন্ডারি ও ৯ টি ছক্কা। ভাগ্য খারাপ নীতীশ রাণারও। ৪৬ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। রাসেল-রাণা প্রায় অসাধ্যসাধন করে ফেলেছিলেন। দিনান্তে কেকেআর থেমে গেল পাঁচ উইকেটে ২০৩ রানে। এদিন নিয়ে টানা চারটি ম্যাচে হারল শাহরুখ খানের দল।
রাসেল-রাণার আগে ইডেন গার্ডেন্স মাতান বিরাট কোহালি। ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করেন আরসিবি অধিনায়ক। কোহালি ১০০ রানের সৌজন্যে ২০ ওভারের শেষে ব্যাঙ্গালোর করে চার উইকেটে ২১৩ রান। কোহালি শতরান করলেও আরসিবির রানের গতি বাড়ানোর আসল কারিগর মইন আলি। ২৮ বলে ৬৬ রান করে কুলদীপের বলে ফেরেন তিনি। মেরেছেন পাঁচটি বাউন্ডারি ও ছ’টি ওভার বাউন্ডারি। মইন আলি ফিরে যাওয়ার পরে কোহালি টেনে নিয়ে গেলেন আরসিবিকে। কোহালির ইনিংসে সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা। স্টোয়নিসও ৮ বলে দ্রুত ১৭ রান করেন।
আরও খবর: মাঠে নামতে গভীর রাতে রাসেলের সাধনা, ভাইরাল ভিডিয়ো
আরও খবর: আইপিএল কাঁপানো তারকার জন্য দরজা খোলা রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা ইংল্যান্ডের
২১৩ রান তাড়া করে জিততে হলে শুরু থেকে আক্রমণের রাস্তা নিতে হতো। কিন্তু প্রথম ওভার থেকে উইকেট পড়তে শুরু করে নাইটদের। সুনীল নারাইনও দ্রুত ফেরেন। মাঝের ওভারে রানের গতি হয়ে যায় মন্থর। উথাপ্পা ও শুবমান গিল বড় রান পাননি। উল্টে বল নষ্ট করেন। রাসেল ও রাণা কেকেআর ইনিংসে গতি আনেন। তবুও দিনটা নাইটদের ছিল না। ইডেনে হেরে আতঙ্ক নাইট শিবিরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ২১৩/৪ (কোহালি ১০০)
কেকেআর ২০৩/৫ (রাণা ৮৫ অপরাজিত, রাসেল ৬৫)