আস্থা: কুলদীপ প্রতি অগাধ ভসা রাখছেন হরভজন। ফাইল চিত্র
এ বারের আইপিএলে একেবারেই ছন্দে নেই কুলদীপ যাদব। ন’ম্যাচ খেলে মাত্র চার উইকেট পেয়েছেন তিনি। শেষ ম্যাচে তাঁকে বাদ দিয়েই খেলছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সামনেই বিশ্বকাপ। তার আগে কুলদীপের ফর্ম চিন্তায় রাখছে ভক্তর। কিন্তু হরভজন সিংহ মনে করেন, কুলদীপের আইপিএল ফর্ম বিশ্বকাপে কোনও প্রভাব ফেলবে না।
বুধবার সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হরভজন বলেছেন, ‘‘এটা ঠিক কুলদীপ এখন খারাপ ফর্মে রয়েছে। টি-টোয়েন্টি হল এমনই এক ফর্ম্যাট, যা এক জন বোলারের আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করে দিতে পারে। কিন্তু ওয়ান ডে হল সম্পূর্ণ অন্য ধরনের ক্রিকেট। বিশ্বকাপে অন্য কুলদীপকে দেখবেন আপনারা।’’ হরভজন আরও বলছেন, তিনি কুলদীপকে আইপিএলে বল করতে দেখেছেন এবং কোনও টেকনিক্যাল ত্রুটি দেখতে পাননি। ভারতীয় অফস্পিনারের মন্তব্য, ‘‘বেশ কয়েকটা ম্যাচে কুলদীপকে বল করতে দেখলাম। কিন্তু কোনও সমস্যা চোখে পড়ল না। পাশাপাশি একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। কুলদীপকে কে কে মেরেছে, সেটা দেখুন। বেশির ভাগই ভারতীয় ব্যাটসম্যান। দুটো ম্যাচে বিরাট কোহালি। বাকিগুলোয় মায়াঙ্ক (আগরওয়াল), ম্যান্ডি (মনদীপ), পৃথ্বী শ, শ্রেয়স আইয়ার, শিখর ধওয়নরা।’’
হরভজন মনে করেন, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কুলদীপকে বুঝে ফেলা কঠিন হয়নি। ভাজ্জির মন্তব্য, ‘‘বিরাটকে ছেড়েই দিন। ও অন্য পর্যায়ের ক্রিকেটার। কিন্তু বাকি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাও ওর কব্জি দেখে বুঝে যাচ্ছিল, বল কোন দিকে ঘুরবে। বিদেশি ব্যাটসম্যানদের চেয়ে ওরা কুলদীপকে স্বাভাবিক ভাবেই ভাল খেলবে। কিন্তু বিশ্বকাপে কুলদীপ যাদের বিরুদ্ধে বল করবে, তারা সবাই বিদেশি। যারা ওর বল এখনও ভাল করে বুঝতে পারে না। তাই বিশ্বকাপে অন্য কুলদীপকে দেখা যাবে।’’
তবে হরভজন মনে করেন, পরিস্থিতির বিচারে কুলদীপকে কিছু তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হত। এ ক্ষেত্রে দলের অধিনায়কও তাঁর স্পিনারকে পরামর্শ দিতে পারত বলে মনে করেন হরভজন। ‘‘যদি দেখা যায়, ফ্লাইট করালে ব্যাটসম্যানরা মেরে দিচ্ছে, তা হলে কুলদীপের কম ফ্লাইট করানো উচিত ছিল। আবার ব্যাটসম্যানরা বেরিয়ে এসে মারলে, লেংথটা একটু বদলানো যেত। এক জন বোলার যখন মার খায়, তখন সব সময় তার মাথা কাজ করে না। সে সব সময় অধিনায়কের উচিত পরামর্শ দেওয়া,’’ বলেছেন সিএসকে এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল জেতা হরভজন।
হরভজনের বিশ্বাস, বিশ্বকাপে কুলদীপকে এ ভাবে ব্যাটসম্যানরা মারতে পারবেন না। তাঁর মতে, ‘‘ওয়ান ডে ক্রিকেটে খুব খারাপ বোলার হলেই তবে কেউ ১০ ওভারে ৭৫-৮০ রান দেয়। কুলদীপ তো বিশ্বকাপে মাঝের ওভারগুলোয় বল করবে। যদি ও মার খায়, তা হলে নিশ্চয়ই উইকেটের এক দিকে ফিল্ডার বাড়িয়ে দেবে বিরাট। সে ক্ষেত্রে প্রথম দিকে মার খেলেও পরে উইকেট তোলার সুযোগ থাকবে।’’ িতনি আরও মনে করেন, বিশ্বকাপে স্লগ ওভারে বল করতে হবে না কুলদীপকে। ‘‘আইপিএলে ১৪-১৬ ওভারে বল করতে হচ্ছে কুলদীপকে। ব্যাটসম্যানরা মরিয়া থাকে। বিশ্বকাপে নিশ্চয়ই ৪০-৪২ ওভারের মধ্যে স্পিনারদের শেষ করে দেবে কোহালি,’’ বলছেন হরভজন।