ভরসা: দিল্লির বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের অস্ত্র হরভজন। ফাইল চিত্র
আজ, মঙ্গলবার ফিরোজ শাহ কোটলাতে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবেন শিখর ধওয়ন এবং দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ঋষভ পন্থ। কিন্তু তিনি, হরভজন সিংহ শুনিয়ে দিচ্ছেন দিল্লি ক্যাপিটালসকে নিয়ে তাঁর বিশেষ উৎকণ্ঠা নেই।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস দলের অভিজ্ঞ তারকা বলছেন, ‘‘আমি এখন আগের মতো সারা বছর ধরে ক্রিকেট খেলি না। তাই কেউ বুঝতেও পারেন না, আমি আসলে কী ভাবে নিজেকে তৈরি করেছি। সেটা এক দিক থেকে ভালই হয়েছে। আমাকে নিয়ে প্রতিপক্ষ চাপে থাকবে। আমি নিজের মতোই থাকব।’’
বয়স এই মুহূর্তে ৩৮ বছর। ফলে তাঁকে ‘বয়স্ক’ ক্রিকেটারদের তালিকায় অনায়াসেই ফেলে দেওয়া যায়। অনেকে তাঁকে সেই তালিকাভুক্ত করেও ফেলেছেন। হরভজনের কোনও আফসোস নেই তা নিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘‘লোকে আমাকে নিয়ে কী বলছেন, সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন কোনও দিন অনুভব করিনি। আজও করি না।’’ বরং সিএসকে আধিকারিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হরভজন বলেছেন, ‘‘আমি এখনও মাঠে নেমে কী করতে পারি, সেটা সিএসকে কর্তৃপক্ষ এবং অধিনায়ক ধোনি খুব ভাল জানে। সেই কারণে আমার প্রতি এ বারও আস্থা রেখেছে। সেটাই আমার কাছে সেরা পাওয়া।’’ স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই হরভজন শুনিয়ে দিয়েছেন, ‘‘চার ওভার বল করার সুযোগ থাকে আইপিএলে। ওই চার ওভারে কী করে দিতে পারি, সেটা আমি ছাড়া কেউ ধরতে পারবেন না। নিজের প্রতি আগের মতোই অগাধ ভরসা রয়েছে। আমি এই লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুত।’’
তুলনামূলক ভাবে তারুণ্যে ভরপুর দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে তাঁর রণকৌশল কি হবে? হরভজন বলেছেন, ‘‘রণকৌশল তৈরি হয় দলীয় শক্তির উপর নির্ভর করে। শেষ ম্যাচে বড় রান ওঠেনি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, আমাদের দলের ব্যাটিং শক্তি দুর্বল। আমাদের দলে অনেক ম্যাচ জেতানোর মতো ক্রিকেটার রয়েছে। ভাল উইকেটে আমাদের সঙ্গে লড়াই করা যে কোনও দলের পক্ষে বেশ কঠিন ব্যাপার। ফলে দিল্লিকেও আমাদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘চেন্নাই বরাবর আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে এসেছে। সেই সংস্কৃতি পাল্টে ফেলার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কোটলার উইকেট কেমন হতে পারে, সেটা আমিও জানি। ফলে প্রথম ম্যাচে যা করেছিলাম, সেটাই আমাকে এবং ইমরান তাহিরকে করতে হবে। সিএসকে এ বারও চ্যাম্পিয়ন হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’’