ফুরফুরে: জয়ের পরের দিন খুশির মেজাজে হরভজন, জাডেজা। টুইটার
তাঁর বয়স বেড়েছে। তার সঙ্গেই বেড়েছে অভিজ্ঞতা। এবং সেই অভিজ্ঞতার দাম যে কতটা, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন হরভজন সিংহ।
শনিবার কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তিনিই চেন্নাই সুপার কিংসকে এনে দিলেন দুর্দান্ত জয়। ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেল এবং মায়াঙ্ক আগরওয়ালের মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে ছিনিয়ে নিলেন ম্যাচের সেরার পুরস্কারও। ম্যাচের পরে সতীর্থ ইমরান তাহিরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হরভজন বলেছেন, ‘‘আমরা তো এখন বয়স্ক হয়ে গিয়েছি। কিন্তু ওই যে একটা প্রবাদ রয়েছে, ওল্ড ইজ গোল্ড। সেটা আবার প্রমাণ হয়ে গেল।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘অভিজ্ঞতার দাম আছে, সেটা আবার প্রমাণিত হল। সেটাই আমার কাছে আনন্দের।’’
সতীর্থ ইমরান তাহিরও প্রশংসা করেছেন হরভজনের। যিনিও শনিবারের ম্যাচে নেন দুই উইকেট। তাহির বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে, আমার কাজ তুমিই হাল্কা করে দিয়েছ। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট থেকে তোমাকে খুব ভাল ভাবে চিনি। তখন হয়তো বিপক্ষে ছিলাম। কিন্তু সিএসকে-তে তোমার সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।’’ ইমরান আরও বলেছেন, ‘‘গেলকে নিয়ে আমাদের একটু অস্বস্তি ছিল। কিন্তু তুমি ওকে ফিরিয়ে দিতেই সেই চাপটা কেটে গিয়েছিল। তা ছাড়া মায়াঙ্কের উইকেটও মূল্যবান ছিল। ওই দু’টো উইকেটই ম্যাচে গতি এনে দিয়েছিল। আমরাও বিশ্বাস করতে শুরু করি, এ বার জেতা সম্ভব।’’
হরভজনও মেনে নিয়েছেন, ক্রিস গেলের উইকেট নিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য কিছু পরিকল্পনা আগে থেকেই সেরে রাখতে হয়। কোনও দিন সেটা কাজে লেগে যায়। কোনও দিন সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়।’’ সেখানেই না থেমে হরভজন আরও বলেছেন, ‘‘গেল শুরু থেকে লম্বা শট নিয়ে বোলারদের উপর চাপ তৈরি করে। সেটা মাথায় রেখেই আমি ওকে বড় শট নেওয়ার সুযোগ দিইনি। প্রথম দু’টো বল মন্থর ছিল। চার নম্বর বলটা আমি একটু বাতাসে রেখেছিলাম। সেই ফাঁদেই পা দেয় গেল। এটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মজা।’’ মায়াঙ্কের উইকেট নিয়ে হরভজনের মন্তব্য, ‘‘ও সদ্য ভারতীয় দলের হয়ে খেলে এসেছে। প্রচুর রানও করেছে। তাই আমি ওকে বেশি শট খেলার সুযোগ দিইনি। জানতাম মায়াঙ্ক উঁচু শট নিতে গিয়েই আউট হবে।’’ ম্যাচের সেরার পুরস্কার সম্পর্কে হরভজনের মন্তব্য, ‘‘আমার বয়স বেড়েছে। তা সত্ত্বেও তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করে ম্যাচের সেরা হচ্ছি। তার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হতে পারে না।’’
মঙ্গলবার চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইডার্স। তার আগে লুঙ্গি এনগিডির পরিবর্ত হিসেবে আসা নিউজ়িল্যান্ডের জোরে বোলার স্কট কুখেলাইনের ডেথ ওভারের বোলিং স্বস্তি দিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস দলের কোচ স্টিভন ফ্লেমিংকে। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা ওর প্রথম আইপিএল ম্যাচ ছিল। তাই হয়তো উত্তেজনার কারণে প্রথম দুই ওভারে একটু বেশি রান দিয়েছিল। কিন্তু ডেথ ওভারেই কুখেলাইন বুঝিয়ে দেয় ওর কার্যকারিতা। সেটাই চাপে ফেলে দিয়েছিল প্রতিপক্ষকে।’’ প্রাক্তন নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়কের অভিমত, ‘‘ম্যাচ জেতানোর মতো ক্রিকেটার আমাদের দলে অনেক রয়েছে। সেটা প্রমাণও হয়ে গেল।’’