ম্যাচের সেরা হলেন হরভজন সিংহ। ছবি পিটিআই
গত বছর আইপিএল থেকেই চেন্নাই সুপার কিংসের একটা নাম হয়ে গিয়েছে। ‘ড্যাড’স আর্মি’! দলের প্রধান ক্রিকেটারদের বয়স তিরিশের বেশ কিছু উপরে বলে এই নামকরণ। তা, এক তিরিশোর্ধ্ব ক্রিকেটারের দাপটেই শনিবার চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে হার মানতে হল কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে। তিনি— হরভজন সিংহ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সিএসকে তোলে তিন উইকেটে ১৬০ রান। সেখানেও দাপট দেখিয়েছেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। ওপেনার ফ্যাফ ডুপ্লেসি (৩৮ বলে ৫৪) এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (২৩ বলে অপরাজিত ৩৭)। জবাবে পঞ্জাব আটকে যায় পাঁচ উইকেটে ১৩৮ রানে।
পঞ্জাব ইনিংসের শুরুতেই ক্রিস গেল এবং মায়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেট তুলে নেন হরভজন। নিজের প্রথম ওভারে কোনও রান না দিয়ে দু’উইকেট তুলে নেন এই অফস্পিনার। এর পরে কে এল রাহুল এবং সরফরাজ খান ১১০ রানের জুটি গড়লেও আস্কিং রেট কমাতে পারেননি। চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে দু’উইকেট নেওয়া হরভজনই ম্যাচের সেরা হয়েছেন।
ম্যাচ শেষে হরভজন বলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আমাদের সর্বদাই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে নামতে হয়। কিন্তু কোনও দিন সেগুলো কাজ করে। আবার কোনও দিন করে না।’’ ভাজ্জি সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘প্রথম ওভার বল করতে এসে গেলকে আউট করে ভাল লাগছে। সঙ্গে মায়াঙ্কের উইকেটটাও গুরুত্বপূর্ণ। গেলকে আউট করার জন্য মন্থর গতির বলকেই অস্ত্র বানিয়েছিলাম।’’
স্কোরকার্ড
চেন্নাই সুপার কিংস ১৬০-৩(২০)
কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ১৩৮-৫ (২০)
চেন্নাই সুপার কিংস
ওয়াটসন ক কারেন বো অশ্বিন ২৬n২৪
ডুপ্লেসি ক মিলার বো অশ্বিন ৫৪n৩৮
রায়না বো অশ্বিন ১৭n২০
ধোনি ন. আ. ৩৭n২৩
রায়ডু ন. আ. ২১n১৫
অতিরিক্ত ৫
মোট ১৬০-৩ (২০)
পতন: ১-৫৬ (ওয়াটসন, ৭.২), ২-১০০ (ডুপ্লেসি, ১৩.৩), ৩-১০০ (রায়না, ১৩.৪)।
বোলিং: মহম্মদ শামি ৪-০-৪১-০, আর অশ্বিন ৪-০-২৩-৩, স্যাম কারেন ৪-০-৩৫-০, অ্যান্ড্রু টাই ৪-০-৩৮-০, মুরুগান অশ্বিন ৪-০-২৩-০।
কিংস ইলেভেন পঞ্জাব
রাহুল ক জাডেজা বো কুখেলাইন ৫৫•৪৭
গেল ক ধোনি বো হরভজন ৫n৭
মায়াঙ্ক ক ডুপ্লেসি বো হরভজন ০n২
সরফরাজ ক ডুপ্লেসি বো কুখেলাইন ৬৭n৫৯
মিলার বো চাহার ৬n৫
মনদীপ ন. আ. ১n১
কারেন ন. আ. ০n১
অতিরিক্ত ৪
মোট ১৩৮-৫(২০)
পতন: ১-৭ (গেল, ১.৪), ২-৭ (মায়াঙ্ক, ১.৬), ৩-১১৭ (রাহুল, ১৭.৩), ৪-১৩৫ (মিলার, ১৮.৬), ৫-১৩৭ (সরফরাজ, ১৯.৪)।
বোলিং: দীপক চাহার ৪-০-৪০-১, হরভজন সিংহ ৪-১-১৭-২, স্কট কুখেলাইন ৪-০-৩৭-২, রবীন্দ্র জাডেজা ৪-০-২৪-০, ইমরান তাহির ৪-০-২০-০।
হরভজনের বলে গেলের আউট হওয়া প্রসঙ্গে সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও বলেন, ‘‘আমরা ইউনিভার্স বসকে দ্রুত আউট করেছি। ও থাকলে ২০০ রানও নিরাপদ নয়। ভাজ্জি ঠিক সময়ে ফিরিয়েছে গেলকে। না হলে ১৬০ রান করেও জেতা সম্ভব হত না।’’
চিদাম্বরমের পিচ থেকে স্পিনাররা সাহায্যও পেয়েছেন। ঘরের মাঠে ফিরে হ্যাটট্রিকের সামনে চলে এসেছিলেন অশ্বিন। যখন তিনি ডুপ্লেসি এবং সুরেশ রায়নাকে পরপর দু’বলে ফিরিয়ে দেন। চেন্নাইয়ের তিনটি উইকেটই নিয়েছেন এই অফস্পিনার। অশ্বিন শেষ করেন চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে। কিন্তু দুই অফস্পিনারের দ্বৈরথে পঞ্জাব অধিনায়কের চেয়ে কম উইকেট পেলেও শেষ হাসি হাসেন হরভজনই।