তিনি ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। তাঁর হাত ধরে আইপিএল যাত্রা শুরু কেকেআর-এর। সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখন দিল্লি ক্যাপিটালসের পরামর্শদাতা। দেখে নেওয়া যাক তাঁর পরামর্শে থাকা দিল্লির সেরা একদশ কেমন হতে পারে।
শিখর ধওয়ন: ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা এই ওপেনারটির সামনে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগ বিশ্বকাপের আগে। বার বার ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছেন শিখর। বিশ্বকাপের আগে এই সমস্যা তাঁকে কাটিয়ে উঠতেই হবে।
পৃথ্বী শ: তরুণ ভারতীয় ওপেনারটি শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত তালিকায় ঢুক পড়তে পারেন। তার জন্য আইপিএলে ভাল কিছু করতে হবে। চোটের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল। সেই অপূর্ণতা মিটিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তরুণ পৃথ্বী।
শ্রেয়শ আইয়ার: শুধু নির্বাচকদেরই নয়, বিখ্যাত বহু প্রাক্তন ক্রিকেটারের নজর কেড়েছেন। প্রাক্তন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিংকেও শ্রেয়শের হয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। জাতীয় দলে চার নম্বরের জন্য শ্রেয়শের নামও উঠে আসছে।
হনুমা বিহারী: দ্রুত রান করার ক্ষমতা আছে। আগামী দিনে ভারতীয় দলে নিয়মিত হয়ে উঠবেন তা এক প্রকার নিশ্চিত। আইপিএলের সুযোগকে কাজে লাগতে হবে হনুমাকে।
মনজিত্ কালরা: বছর কুড়ির বাঁহাতি ব্যাটসম্যানটিকে যথেষ্ট সম্ভাবনাময় বলে মনে করছেন নির্বাচকরা। আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতায় ভাল খেলে জাতীয় দলের দরজা খোলার চেষ্টা থাকবে।
ঋষভ পন্থ: এই মুহূর্তে সবার নজর রয়েছে। বিশ্বকাপে চূড়ান্ত তালিকায় নাম ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কিপিং নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। আইপিএল-এ নিজের সেরাটা দিতে হবে।
ইশান্ত শর্মা: নিঃসন্দেহে দলের পেস আক্রমণের নেতৃত্ব থাকবেন। টেস্টে বর্তমান ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা পেসার।
ট্রেন্ট বোল্ট: নিউজিল্যান্ডের সিমারটি নিজের দিনে একাই বিপক্ষকে শেষ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। দিল্লিকে ভাল কিছু করার জন্য বোল্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
অমিত মিশ্র: বেশ কিছুদিন জাতীয় দলের বাইরে। নির্বাচকদের তেমন নজরেও নেই। আইপিএলে ভাল কিছু করলে ভবিষ্যতে ভাগ্য ঘুরতেও পারে এই লেগ স্পিনারের।
কাগিসো রাবাডা: দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারটি এই বিশ্বের অন্যতম বিস্ময়। ইশান্ত-বোল্টের সঙ্গে খুবই কার্যকর হয়ে উঠতে পারেন।
সন্দীপ লামিছানে: নেপালের লেগ স্পিনারটিকে অনেক আশা করে দলে নেওয়া হয়েছে। এখন দেখার তরুণ স্পিনারটি কতটা সফল হন।