আইপিএলের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি। তিন বারের চ্যাম্পিয়ন, এক বারের রানার্স আপ। এ বারেও প্লে অফে খেলার অন্যতম দাবিদার। প্রথম আইপিএল অবশ্য একেবারেই ভাল যায়নি মুম্বইয়ের। প্রথম চার ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর প্লেঅফেও উঠতে ব্যর্থ হয় তারা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক প্রথম আইপিএল খেলা সেই মুম্বই দলের ক্রিকেটাররা আজ কে কোথায়।
লুক রঞ্চি: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সেই ম্যাচে জয়সূর্যর সঙ্গে ওপেন করতে এসেছিলেন নিউজিল্যান্ডের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তবে সফল হননি মাত্র ৮ রানে জাহির খানের বলে আউট হন। এ বারের আইপিএলে দল না পেলেও ইসলামাবাদ ইউাইটেডের হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগে খেলেছেন রঞ্চি।
সনত্ জয়সূর্য: প্রথম আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৫১৪ রান করে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানাধিকারী হয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে ১৬ বলে ২৯ করার পর বল হাতে এক উইকেট নেন তিনি। তিন বছর মুম্বইয়ে খেলেন তিনি। ২০১০ সালে এক বার ভোটে দাঁড়িয়ে জেতেন তিনি। চলতি বছর এক বার শোনা গিয়েছিল হাঁটুর সমস্যায় মেলবোর্নে চিকিত্সা করাচ্ছেন তিনি।
ডমিনিক থর্নলে: লুক রঞ্চি আউট হওয়ার পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন এই অজি ব্যাটসম্যান। কিন্তু মাত্র পাঁচ বল খেলে জাহির খানের বলে আহত হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। মুম্বইয়ের হয়ে মাত্র এক মরসুমই খেলেন তিনি। বর্তমানে ৩৯ বছরের থর্নলে নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুর হয়ে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন।
রবিন উথাপ্পা: সেই ম্যাচের টপ স্কোরার। ৩৮ বলে ৪৮ করেছিলেন তিনি। মুম্বইয়ে একটিই মরসুম খেলেছিলেন রবিন। পরে পুণে ওয়ারিয়র্স হয়ে শেষ কয়েক মরসুম নাইট রাইডার্সের নিয়মিত সদসিয। ছবি: পিটিআই।
পিনাল শাহ: রবিন উথাপ্পার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন বরোদার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ২৩ বলে ১৯ রান করেন তিনি। দু’বছর মুম্বইয়ে খেলে যোগ দেন রাজস্থানে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বরোদার হয়ে নিয়মিত খেললেও জাতীয় দলে কোনও দিনই সুযোগ পাননি।
অভিষেক নায়ার: মুম্বইয়ের ঘরোয়া সার্কিটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। সে দিনের ম্যাচে ১৪ বলে ২০ রান করে প্রবীণ কুমারের বলে আউট হন। মুম্বই ছাড়াও পুণে এবং রাজস্থানের হয়ে খেলেন নায়ার। জাতীয় দলে ডাক পেলেও পারফর্ম করতে না পারায় বাদ পড়েন। বর্তমানে অভিষেক মুম্বইয়ের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ধারাভাষ্যও দেন।
শন পোলক: সে দিনের ম্যাচে মুম্বইয়ের অন্যতম পারফর্মার। ব্যাট হাতে ১২ বলে ২৮ রান করে বল করতে এসে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দেন। মুম্বইয়ের হয়ে একটাই মরসুম খেলেন পোলক। তার পরেই ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এর পর মুম্বইয়ের হয়ে কোচিং করেন তিনি। ধারাভাষ্যকার হিসাবেও এখন বেশ জনপ্রিয় পোলক।
হরভজন সিংহ: সচিনের চোট থাকায় মুম্বইয়ের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব যায় হরভজনের কাঁধে। যদিও ৪ ম্যাচ খেলেই শ্রীশন্থ বিতর্কে নির্বাসিত হন। ১০ মরসুম মুম্বইয়ের হয়ে খেলে চলতি বছর চেন্নাইয়ের হয়ে খেলছেন। ছবি: এএফপি।
মুসাভির খোটে: আন্তরাজ্য টি২০ লিগে দুর্দান্ত খেলার জন্য তাঁকে দলে নেয় মুম্বই। সে দিনের ম্যাচে ব্যাট বা বল কোনও কিছু করারই সুযোগ পাননি তিনি। আইপিএলে গোটা চারেক ম্যাচ খেলেছিলেন খোটে। এর পর মাত্র ৩০ বছর বয়সে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
আশিষ নেহরা: মুম্বইয়ের হয়ে মাত্র একটা মরসুমেই খেলেছেন নেহরা। তবে আইপিএলে মোট ছ’টা ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন তিনি। ২০১৭ সালে তাঁর ১৮ বছরের কেরিয়ার শেষ করেন নেহরা। বর্তমানে তিনি বেঙ্গালুরুর বোলিং কোচ।
ধবল কুলকার্নি: মুম্বইয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম তারকা ধবল মুম্বই, গুজরাত এবং রাজস্থানের হয়ে খেলে চলতি বছর ফের যোগ দিয়েছেন রাজস্থানে। সে দিনের ম্যাচে ২.৪ ওভারে ১৯ রান দেন তিনি।