অলিম্পিকের মঞ্চে দীপা কর্মকার। ছবি: গেটি ইমেজেস।
রিও অলিম্পিকের দরবারে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন কয়েক মাস আগেই। ভারতের প্রথম মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে অলিম্পিকে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। আর এরপরেই গোটা বিশ্বের নজর নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন দীপা কর্মকার। ত্রিপুরার মেয়েটা মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন গোটা বিশ্বের। জিমন্যাস্টিকসে নিজস্ব দক্ষতার জোরে সমীহ আদায় করে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক স্তরের জিমন্যাস্টদেরও।
ভারতের প্রায় ১২৫ কোটি মানুষ এখন হাতে গোনা যে’কজনের দিকে তাকিয়ে, তাঁদের মধ্যে দীপা একজন। দীপার পদক জয়ের আশায় প্রহর গুনছে দেশবাসী। দেশের গণমাধ্যমগুলো যেমন ত্রিপুরার মেয়েটার দিকে তাকিয়ে, ঠিক তেমনিই দীপার দিকে নজর রয়েছে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলোরও। সেই ছোট থেকে কঠিন অধ্যবসায়ের মধ্যে দিয়ে গিয়ে আজ অলিম্পিকের মঞ্চে নিজেকে হাজির করেছেন দীপা। সেই খবর ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা ‘বিবিসি নিউজ’-এর ওয়েবসাইটে। ওই সংবাদ সংস্থার ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছিল, ভারতের মতো দেশে জিমন্যাস্টের জন্য উৎসাহ খানিকটা কম। সেখানে নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমকে ভিত্তি করে সে এই জায়গায় নিজেকে উন্নীত করতে পেরেছে। বিবিসি’র প্রকাশিত খবরে এও বলা হয়েছিল যে, দীপা তাঁর জীবনের প্রথম জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় নামার সময় একটু বড় মাপের পোশাক পরে নেমেছিলেন। ছিল না কোনও জুতোও।
আরও পড়ুন: সেরাদের কাছেও কেন বিভীষিকা প্রদুনোভা! দীপার কাছে ‘সবচেয়ে সহজ’
জিমন্যাস্টিকসের প্রাথমিক বিভাগের পর ফাইনাল রাউন্ডে ওঠার খবর প্রকাশিত হয়েছিল রয়টার্সের ওয়েবসাইটে। সেখানে লেখা হয়েছিল, জিমন্যাটিক্সের ভল্ট রাউন্ডের ফাইলানে উঠেছেন দীপা। শূণ্যে অসামান্য ডবল ফ্রন্ট সামারসল্ট দিলেও ম্যাট স্পর্শ করার ক্ষেত্রে সামান্য বিচ্যুতি ঘটে যায়। এই কারণে তিনি সামান্য হলেও অখুশি। এরই সঙ্গে অলিম্পিকের মঞ্চে পারফরম্যান্স কেমন হয়েছে তা দীপার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এবং তাঁর মতামতও গুরুত্বের সঙ্গে রয়টার্সের ওয়েবসাইটে ছাপা হয়েছিল।
আলজাজিরা কিংবা নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটগুলিতে দীপার ভল্ট প্রশংসা কুড়িয়েছিল। রিও’র আসরে দীপা নামবেন। সুচারু শরীরী ভঙ্গিমায় ভল্ট দেবেন। পদক জয়ের আশায় মশগুল তিনি। গোটা দেশ তাকিয়ে আগরতলার মেয়েটির দিকে। তাকিয়ে বাকি বিশ্বও।