বর্ধমানের মোহনবাগান মাঠে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অজয় ঘোষ ট্রফির ফাইনালে কলকাতা বনাম বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় লড়াইয়ের একটি মুহূর্ত। শুক্রবারের নিজস্ব চিত্র।
৫.১-১-১০-৯!
এটাই বোলিং-কার্ড কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রৌশন সিংহের। আর এই আগুনে বোলিংয়ের দৌলতেই পরপর দু’বার সিএবি পরিচালিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অজয় ঘোষ ট্রফি জিতল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
শুক্রবার সকালে বর্ধমানের মোহনবাগান মাঠে প্রতিযোগিতার ফাইনালে মুখোমুখি হয় কলকাতা ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথমে ব্যাট করে ২৩৫ রান তোলে কলকাতা। তাদের রঞ্জিত সাউ করেন ৫০ রান। এর পরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাট করতে নামার পরেই শুরু হয় রৌশনের আগুনে বোলিং। মাত্র ১০ ওভারে ৫০ রানে অলআউট হয়ে যায় বিদ্যাসাগর।
রানার্স টিমের অধিনায়ক রাহুল ঠাকুরের আক্ষেপ, ‘‘রৌশনের বলের গতির সামনে আমরা দাঁড়াতেই পারিনি।” এ দিন খেলার সেরার পুরস্কার নিয়ে রৌশন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ফের এই প্রতিযোগিতা জিতল, এটাই বড় কথা।”
উদ্যোক্তারা জানান, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে দু’দিন ধরে দলগুলির ৮৫ ওভার করে খেলার কথা থাকলেও কেউই টিকতে পারেনি। এর আগে সেমিফাইনালে কলকাতা হারিয়ে দেয় যাদবপুরকে। বিদ্যাসাগর হারায় পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। ফাইনাল খেলাটি পরিচালনা করেন জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ও তপন সিংহ।
এ দিন সিএবি-র পতাকা তুলে ফাইনালের উদ্বোধন করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিমাই সাহা। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে ব্যাট হাতে নিমাইবাবুর বল সামলাতেও দেখা যায়। এ দিন উপাচার্য মন্ত্রীর কাছে দাবি করেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা রয়েছে। ক্রীড়া দফতরের সহযোগিতায় আধুনিক মাঠ গড়ে তুলতে পারলে ভাল হয়।’’
মন্ত্রী স্বপনবাবুর আশ্বাস, ‘‘ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানাব।’’