অভিমন্যু ঈশ্বরনকে অনূর্ধ্ব ২৩ দলের অধিনায়ক করে রাঁচী পঠিয়ে আসন্ন মুস্তাক আলি ট্রফির মূলপর্বের জন্য বাংলা দলে নেওয়া হল ওপেনার অভিষেক রামনকে। অন্য দিকে কাঁধের চোট না সারা সত্ত্বেও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে বাংলার টি-টোয়েন্টি দলে রাখা হল। আঞ্চলিক পর্বে চার ওভারে ৫৩ রান দেওয়ার পরে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হল বাঁ হাতি স্পিনার অনুরাগ তিওয়ারিকে। তাঁর জায়গায় নেওয়া হল প্রদীপ্ত প্রামানিককে।
ঈশ্বরনকে বাদ দিয়ে রামনকে নেওয়ার পিছনে নির্বাচকদের যুক্তি বিজয় হাজারে ট্রফির আগে দুই ওপেনারকেই ম্যাচের মধ্যে রাখতে এই সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার সিএবি যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া বলেন, ‘‘সুদীপের কাঁধে এমআরআই হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবে ধরে নিয়ে ওকে দলে রাখা হয়েছে।’’ আঞ্চলিক পর্বে অবশ্য দুই ওপেনার শ্রীবৎস গোস্বামী ও বিবেক সিংহই দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তুলেছেন। এঁরা দু’জনে মিলে ৪৩৫ রান তোলায় বাকি পাঁচ ব্যাটসম্যান দুশো রানও তোলার সুযোগ পাননি।
তবে মূলপর্বে লড়াই অতটা সোজা হবে না বোধহয়। কারণ, রাঁচীতে ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ পেলেও ইডেনের বাইশ গজ কিন্তু অন্যরকম। ইডেনের উইকেটে গতি ও বাউন্স দুটোই রয়েছে। যা ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে পারে। মূলপর্বে বিপক্ষও অপেক্ষাকৃত কঠিন হবে। বরোদা, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি ও তামিলনাড়ু। আর গ্রুপসেরা না হলে ফাইনালে ওঠার সুযোগ নেই। তাই অনেক বেশি চাপ নিয়েও খেলতে হবে বাংলাকে।
রবিবার থেকে জাতীয় টি-টোয়েন্টির মূলপর্বে খেলতে এ দিন থেকেই দলগুলো শহরে এসে পৌঁছতে শুরু করল। তামিলনাড়ু, বরোদা ও পঞ্জাব এ দিন শহরে চলে আসে। দল এলেও পঞ্জাবের দুই তারকা যুবরাজ সিংহ ও হরভজন সিংহ এ দিন দলের সঙ্গে আসেননি। বরোদার ক্রুণাল পাণ্ড্য, কর্নাটকের মণীশ পাণ্ডে, করুণ নায়ার, স্টুয়ার্ট বিনি, বিনয় কুমার, পঞ্জাবের সন্দীপ শর্মা, বারিন্দর স্রানরা এই টুর্নামেন্টে নজর কাড়বেন।