Paris Olympics 2024

প‌্যারিসের পরেই অবসর, ঘোষণা করলেন সৃজেশ

১৯৮০ সালে মস্কো অলিম্পিক্সে শেষ বার হকিতে সোনা জিতেছিল ভারত। দীর্ঘ চল্লিশ বছর পরে টোকিয়োয় ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সৃজেশরা। আগামী ২৭ জুলাই প্যারিসে অভিযান শুরু হবে ভারতীয় দলের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ০৯:০৭
Share:

ইচ্ছা: অলিম্পিক্স পদকে চোখ সৃজেশের। —ফাইল চিত্র।

প‌্যারিসেই তিনি ভারতের হয়ে শেষবার অলিম্পিক্স হকিতে খেলবেন। তার পরেই দীর্ঘ আঠারো বছরের হকি জীবনে ইতি টানবেন। জানিয়ে দিলেন ভারতীয় পুরুষ হকি দলের অভিজ্ঞ গোলকিপার পি আর সৃজেশ। সোমবার তিনি সমাজমাধ‌্যমে এই কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

১৯৮০ সালে মস্কো অলিম্পিক্সে শেষ বার হকিতে সোনা জিতেছিল ভারত। দীর্ঘ চল্লিশ বছর পরে টোকিয়োয় ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সৃজেশরা। আগামী ২৭ জুলাই প্যারিসে অভিযান শুরু হবে ভারতীয় দলের। প্রথম ম্যাচ নিউ জ়িল‌্যান্ডের বিরুদ্ধে।

৩৬ বছরের কেরলের খেলোয়াড় সৃজেশ দেশের হয়ে খেলেছেন ৩২৮টি ম‌্যাচ। তিন বার দেশের জার্সিতে অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প‌্যারিসের পরেই হকি স্টিক তুলে রাখবেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক হকি জীবনের শেষ পর্বে পৌঁছে গিয়েছি। জি ভি রাজা স্পোর্টস স্কুল থেকে স্মরণীয় এই যাত্রাপথের সূচনা হয়েছিল। পথের প্রতি পদক্ষেপে স্বপ্ন দেখেছি। প্রিয়জনদের কাছ থেকে শেষ দিন পর্যন্ত সমর্থন পেয়েছি।”

Advertisement

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নিজের প্রথম কিট কেনার গল্পও শুনিয়েছেন সৃজেশ। বলেছেন, “আমার বাবা গরু বিক্রি করে প্রথম হকি কিট কিনে দিয়েছিলেন। ওঁর সেই ত‌্যাগ সে দিনই আমার মধ‌্যে জেদ তৈরি করেছিল। কঠোর পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করে। আরও বড় স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিল।”

বারো বছর আগে লন্ডন অলিম্পিক্সে সমস্ত ম‌্যাচ হারের যন্ত্রণা আজও তাঁকে সমান ভাবে কষ্ট দেয়। সৃজেশের কথায়, “২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সের স্মৃতি এখনও আমাকে কষ্ট দেয়। তবে সেটাই ছিল আমার কাছে মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ফের উঠে দাঁড়িয়েছিলাম। নিজের কাঁধকে আরও চওড়া করেছিলাম।”

প‌্যারিসেও নিজের সেরাটা দিতে চান সৃজেশ। তাঁর কথায়, “প‌্যারিসে শেষ বার নামার জন‌্য প্রস্তুত হচ্ছি। দেশকে গর্বিত করতে আশাবাদী। পদকের রং পাল্টাতে হবে।”

অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিংহ বলেন, “প‌্যারিসে পদক জিতে সৃজেশের বিদায় স্মরণীয় করে রাখতে চাই।” আরও বলেন, “সৃজেশ আমাদের সকলের কাছে প্রেরণার অন‌্য নাম। ওকে দেখে আমরা শিখেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement