সব ক্রিকেটার সমান সাফল্য পান না। একই দিনে, একই সঙ্গে, একই ম্যাচে অভিষেক করলেও কেউ হন সফল, কেউ হন ব্যর্থ। কেউ দীর্ঘদিন খেলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, কেউ অল্প কয়েক ম্যাচ পরেই থেমে যান। ক্রিকেট তো সত্যিই অনিশ্চয়তার খেলা। দেখে নেওয়া যাক এমন ভারতীয় ক্রিকেটারদের, যাঁরা একই দিনে অভিষেক করেছেন একদিনের ফরম্যাটে।
১৯৮১ সালে ইংল্যান্ডে একই ম্যাচে অভিষেক করেন রবি শাস্ত্রী ও ক্রিস শ্রীকান্ত। দুই জনেই দীর্ঘদিন খেলেছেন দেশের হয়ে। ১৯৮৩ সালে কপিলের বিশ্বকাপজয়ী দলেও ছিলেন উভয়ে। আক্রমণাত্মক ওপেনার শ্রীকান্ত অবসরের পর নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান হন। আর একদা অলরাউন্ডার শাস্ত্রী এখন জাতীয় দলের প্রধান কোচ। ধারাভাষ্যকারও ছিলেন তিনি।
১৯৮৯ সালে ভারতের পাকিস্তান সফর বিখ্যাত সচিন তেন্ডুলকরের আবির্ভাব হিসেবে। ১৬ বছর বয়সে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক করেন তিনি। একই ম্যাচে সচিনের সঙ্গে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন সলিল আঙ্কোলা ও বিবেক রাজদান। কেউই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নজর কাড়তে পারেননি। পরে আঙ্কোলা অভিনয় জগতে চলে যান। আর রাজদান হন ধারাভাষ্যকার।
১৯৯১ সালে শারজায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক করেন জাভাগল শ্রীনাথ ও বিনোদ কাম্বলি। সেই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি কাম্বলি। শ্রীনাথ নেন এক উইকেট। ভারত ৬০ রানে হারায় পাকিস্তানকে। শ্রীনাথ পরে দীর্ঘদিন খেলেন দেশের হয়ে। কাম্বলির আন্তর্জাতিক কেরিয়ার অবশ্য ২০০০ সালেই যায় থেমে।
২০০০ সালে সদ্য অধিনায়ক হওয়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একই ম্যাচে অভিষেক করেন যুবরাজ সিং, জাহির খান ও বিজয় দাহিয়া। নাইরোবিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষ ছিল কেনিয়া। যুবরাজ ও জাহির দীর্ঘদিন ধরে খেলেন দেশের হয়ে। উইকেটকিপার দাহিয়া কিন্তু জাতীয় দলে নিজেকে নিয়মিত করতে পারেননি।
জোগিন্দার শর্মা মানেই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে ভাসে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। শেষ ওভারে তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সফল হন জোগিন্দার। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। মজার হল, ধোনি ও জোগিন্দারের অভিষেক হয় ২০০৪ সালে বাংলাদেশে একই ম্যাচে।
লোকেশ রাহুল, যুজভেন্দ্র চাহল ও করুণ নায়ার ২০১৬ সালের জিম্বাবোয়ে সফরে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন প্রথম ম্যাচে। সেই ম্যাচে অভিষেকেই শতরান করেছিলেন লোকেশ রাহুল। ম্যাচের সেরাও হন তিনি। চাহল উইকেট না পেলেও দশ ওভারে দেন মাত্র ২৭ রান। সেই ম্যাচে ব্যর্থ হন নায়ার, করেন মাত্র ৭ রান।