কুলদীপ যাদব। নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হারে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফয়সালা রবিবার শেষ ম্যাচের ফলের ওপর দাঁড়িয়ে। আর কার্ডিফে তাঁরা আটকে যাওয়ার পরে ব্রিস্টলে এই ম্যাচে ভারতীয় স্পিনারদের বড় পরীক্ষা দিতে হবে বলেই মনে করছেন অধিনায়ক
বিরাট কোহালি।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম ম্যাচে ভারতকে জিতিয়েছিলেন কুলদীপ যাদব। পাঁচ উইকেট নিয়ে তিনি প্রায় একাই শেষ করে দেন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। আর এক স্পিনার যুজবেন্দ্র চহালও সে দিন চাপে রেখেছিলেন অইন মর্গ্যানদের। কিন্তু কার্ডিফে মর্গ্যানরা বুঝিয়ে দেন, স্পিনারদের সামলানোর উপায়ও রপ্ত করে ফেলেছেন তাঁরা। শুক্রবার তাঁরা কুলদীপ ও চহাল দু’জনের কাউকেই শাসন করতে দেননি। ম্যাচের আগের দিন নেটে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের স্পিন বোলিং মেশিন নিয়ে কুলদীপদের সামলানোর প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। সেই প্রস্তুতিই শেষ পর্যন্ত কাজে লেগে যায় তাঁদের।
কার্ডিফে হারের পরে কোহালি স্বাকীরও করে নেন যে, তাঁর দলের স্পিনারদের ঠিকমতো সামলেই ম্যাচ বার করে নেয় ইংল্যান্ড। বলেন, ‘‘ওরা কুলদীপের বিরুদ্ধে খুব ভাল ব্যাটিং করেছে। মাঝের ওভারগুলোতে এটাই তফাত গড়ে দেয়। কুলদীপকে নিয়ে ওরা ভাল হোমওয়ার্ক করেছে। পরের ম্যাচে আমাদের আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’’ কুলদীপের সঙ্গে চহালকেও প্রায় একই কথা বলতে শোনা যায় সাংবাদিক বৈঠকে। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পরে ওরা এই ম্যাচে কুলদীপের বিরুদ্ধে হিসেব কষে ঝুঁকি নিয়ে খেলেছে। প্রথম তিন ওভারে ওরা ওকে মারতে যায়নি। শেষ ওভারে ও মার খায়। কারণ, তখন আমরাও হার-জিতের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম।’’
তবে চহাল মনে করেন, ‘‘১৫০ রানের টার্গেট দেওয়ার পরেও যে আমরা ম্যাচটাকে ২০ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পেরেছি, তার মানে আমাদের বোলিং ভাল হয়েছে।’’ এই জায়গা থেকেই ভারতকে শুরু করতে হবে রবিবার। ইংল্যান্ড যেমন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ভারতেরও এ বার সে ভাবেই জয়ে ফেরার পালা।
কোহালি যেমন বলেন, ‘‘পাঁচ ওভারের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরে যেতে হলে, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা বেশ কঠিন। শেষ ম্যাচে আমাদের আর এই ভুল করলে চলবে না। বোর্ডে ব়ড় রান থাকলে বোলাররাও ভরসা পায়। ওরা ভাল বল করে।’’
ইংল্যান্ড শিবির ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর ওপর বেন স্টোকসের চোট সারিয়ে ফেরার খবর তাঁদের আরও চাঙ্গা করে তুলতে পারে। তবে স্টোকস ফিরে আসায় তাঁকে দলে রাখা নিয়ে মাথাব্যথা বাড়তে পারে অধিনায়ক মর্গ্যানের। শুক্রবারের জেতা দলে কোনও বদল আনবে কি না ইংল্যান্ড, সেটাই দেখার।
একই ভাবে ভারতীয় শিবির বাঁ হাতি স্পিনার ক্রুণাল পাণ্ড্যকে দলে এনে স্পিনারের সংখ্যা বাড়াবে কি না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। কার্ডিফের পিচে ঘাস রেখে সুফল পাওয়ার পরে এ বার ব্রিস্টলেও একই রকম উইকেট রাখতে পারে ইংল্যান্ড। যতই হোক তাদের হোম ম্যাচ। এ রকম উইকেট পেলে বাড়তি স্পিনার নেওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে স্পিনারদের পাশাপাশি রবিবার ভারতের ব্যাটিংয়েরও বড় পরীক্ষা। টি-টোয়েন্টিতে ২০০০ রানের মাইলফলক থেকে ১৪ রান দূরে থাকা রোহিত শর্মার এই সিরিজে বড় রান নেই। তাঁর রানে ফেরার দিকে যেমন তাকিয়ে কোহালিরা, তেমনই শিখর ধওয়নের ব্যাট থেকেও বড় রান চান কোহালিরা। শুরুতে বড় পার্টনারশিপ হলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে যে।