বিমর্ষ: ওপেন করতে নেমে বড় রান পেলেন না রোহিত। এপি
বড় রানের বোঝা কাঁধে চাপতেই ম্যাচ জেতা বেশ কঠিন হয়ে গেল রোহিত শর্মার ভারতের। বুধবার ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে, টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারত হারল ৮০ রানে। টি-টোয়েন্টিতে এত রানের ব্যবধানে কখনও হারেনি ভারত।
নিউজ়িল্যান্ড তাদের ২২০ রানের ‘টার্গেট’ দেওয়ার পরে ভারত ১৩৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। ২৪ বছর বয়সি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান টিম সাইফার্ট (৪৩ বলে ৮৪), কলিন মুনরো (২০ বলে ৩৪) ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনেরা (২২ বলে ৩৪) নিউজ়িল্যান্ডকে দু’শো পার করিয়ে দেওয়ার পরেই যে ভারতীয় শিবিরে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ দেখা গিয়েছিল, তা ম্যাচের পরে স্বীকার করে নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পুরস্কার মঞ্চে উঠে তিনি বলেন, ‘‘দু’শো রান তুলে জেতা যে মোটেই সোজা হবে না, তা আমরা বুঝেইছিলাম। তবে নিউজ়িল্যান্ড আজ আমাদের সব দিক থেকেই পিছনে ফেলে দিয়েছে।’’
এর আগে ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪৯ রানে হেরেছিল ভারত। এত দিন সেটাই ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি হার। কিন্তু দলে আটজন ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও এ দিনের হারের ব্যবধান সেই অঙ্ককেও ছাড়িয়ে গেল। হতাশ অধিনায়ক রোহিত বলেন, ‘‘আমরা এ রকম বড় রান তাড়া করে আগেও জিতেছি। সে জন্যই আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে নামি আমরা। কিন্তু আজ একটা ছোট পার্টনারশিপও হল না। তাই কাজটা কঠিন হয়ে গেল।’’
যে ভাবে এ দিন ভারতীয় বোলারদের আক্রমণ করেন সাইফার্ট তা ব্রেন্ডন ম্যাকালামের কথা মনে করিয়ে দেয়। দেশের হয়ে এটি তাঁর নবম টি-টোয়েন্টি। খেলেছেন তিনটি ওয়ান ডে ম্যাচও। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও দীনেশ কার্তিকরা তাঁর ক্যাচ ফেলে যে ভুল করেন, ভারতকে তার মাশুল দিতে হয়। এমনিতেই বোলিংয়ের দুই প্রধান স্তম্ভ যশপ্রীত বুমরা ও কুলদীপ যাদবকে ছাড়াই নেমেছিল ভারত। তার উপর কার্তিক এ দিন লং অনে দাঁড়িয়ে আরও একটি ক্যাচ ফস্কান। ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের ক্রুণাল পাণ্ড্য বলেন, ‘‘পাওয়ারপ্লে ও মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ওদের অনেক রান দিয়েছি। যার ফলে এমন রান তোলে ওরা, যা তাড়া করে জেতা কঠিন ছিল।’’