—ফাইল চিত্র।
ভারত বনাম নিউজ়িল্যান্ডের ওয়ান ডে সিরিজের ফয়সালা আগেই হয়ে গিয়েছে। রোহিত শর্মার দল আগের ম্যাচ হারার ফলে এও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, ভারত ৫-০ জিতে হোয়াইওয়াশও করতে পারবে না। আজ, রবিবার ভারত জিতলে সিরিজ ৪-১ হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ওয়েলিংটনে, শেষ ম্যাচে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন এক জনই। তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ভারত, নিউজ়িল্যান্ড— দুই শিবিরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ওই এক জনই। ধোনি।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে ভারতের ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার জানিয়ে দিয়েছেন, ধোনি ফিট। এবং তিনি শেষ ম্যাচে খেলবেন। যা জানার পরে অঙ্ক শুরু হয়ে গিয়েছে নিউজ়িল্যান্ড শিবিরে। কেন উইলিয়ামসনের দলের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম সাংবাদিকদের এসে জানিয়েছেন, ধোনিকে আউট না করলে ম্যাচ কখনও শেষ হয় না।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে আগের দুটো ম্যাচে খেলতে পারেননি ধোনি। বিরাট কোহালি এবং ধোনির অনুপস্থিতিতে আগের ম্যাচে বিশ্রী ভাবে হেরেছে ভারত। ৯২ রানে শেষ হয়ে যায় রোহিতদের ইনিংস। ধোনি ফেরায় যে ভারতের ব্যাটিং শক্তিশালী হয়েছে, তা মেনে নিচ্ছে নিউজ়িল্যান্ড শিবির। নিশাম যেমন বলেছেন, ‘‘ধোনির রেকর্ডই ওর হয়ে কথা বলে। দুর্দান্ত ক্রিকেটার।’’ এখানেই শেষ নয়। নিশাম আরও বলেন, ‘‘আমি জানি, ভারতীয় মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, ধোনিকে বিশ্বকাপে রাখা হবে কি না, তা নিয়ে। আমি শুধু একটা কথাই বলব। ধোনি ব্যাট করতে নামা মানেই ব্যাটিং অর্ডার অনেকটা চাপমুক্ত হয়ে যায়। উল্টো দিকের ব্যাটসম্যানরা শান্ত মনে ব্যাট করতে পারে। বোলাররাও জানে, যত ক্ষণ না ধোনিকে আউট করা যাচ্ছে, ম্যাচ জেতার প্রশ্নই নেই।’’
আরও পড়ুন: বিন্দ্রার পরামর্শ নিয়ে তাঁকেই ছুঁলেন মেহুলি
উড়ন্ত: ফিল্ডিং অনুশীলনে দুরন্ত বিজয় শঙ্কর। শনিবার। ছবি: টুইটার।
ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে অনেকটা হ্যামিল্টনের সেডন পার্কের মতো পরিবেশ। এখানে খুব হাওয়া দেয়, যা পেসারদের সাহায্য করতে পারে। তাই রবিবার ফের ট্রেন্ট বোল্টের ভয়ঙ্কর রূপ দেখা যেতে পারে। যা সামলানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে ভারতীয় ব্যাটিংকে। আগের ম্যাচে শুরুর দিকে বোল্টের বিধ্বংসী স্পেলের পরে ধস সামলানোর জন্য অভিজ্ঞ কেউ ছিলেন না ভারতীয় ব্যাটিংয়ে। ধোনি আসায় সে সমস্যাটা দূর হতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। দীনেশ কার্তিকের জায়গায় শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে ধোনিকে নামানোর কথা বলছেন এঁরা।
ভারতীয় দল তাদের অভিজ্ঞতম ক্রিকেটারকে দলে পেলেও নিউজ়িল্যান্ড কিন্তু চোট সমস্যায় আক্রান্ত। ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল পিঠের চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন। যে কারণে দলে ফিরছেন কলিন মুনরো। তবে নিউজ়িল্যান্ডের রণনীতি গড়ে উঠছে সেই বোল্টকে কেন্দ্র করে। নিশাম বলেছেন, ‘‘হ্যামিল্টনে যে পরিবেশ ছিল, তাতে আমরা সুবিধে পেয়েছিলাম। বোল্ট ভাল সুইং করাচ্ছিল। ভারতের মতো দলকে ৯২ রানে শেষ করে দেওয়াটা দারুণ ব্যাপার।’’ ওয়েস্টপ্যাক স্টে়ডিয়ামের হাওয়া যে সুইং বোলারকে সাহায্য করবে, তা মনে করেন নিশাম। বলেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে আমি ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে খেলা পছন্দ করি। কারণ বেসিন রিজার্ভের (ওয়েলিংটনের অন্য স্টেডিয়াম) চেয়ে এখানে বল বেশি সুইং করে।’’ সেই পরিবেশে বোল্ট আবার বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন বলে আশা করছে নিউজ়িল্যান্ড শিবির।
পিচ নিয়ে নিশাম অবশ্য বলেছেন, ‘‘এখানকার পিচ কী রকম ব্যবহার করবে, আমরা জানি না। তবে এটা জানি, এক এক জায়গায় আমরা এক এক রকম পিচ পাব। শুধু নিউজ়িল্যান্ডে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খেলতে গেলে সেটাই স্বাভাবিক। আমরা সব রকম পরিবেশে ভাল খেলার জন্য তৈরি থাকছি।’’