অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর মুগ্ধ করেছেন বোলিং কোচ ভরত অরুণকে। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে ঋষভ পন্থের তুলনা একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না ভারতের বোলিং কোচ ভরত অরুণের। মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের চতুর্থ একদিনের ম্যাচে ঋষভের কিপিং যে ভাবে সমালোচিত হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে প্রচারমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভরত অরুণ বলেছেন, “ধোনি ও পন্থের তুলনা করা অনুচিত। ধোনির প্রভাব বিশাল। ও হল কিংবদন্তি। উইকেটের পিছনে ওর ভূমিকা অতুলনীয়। দলেও বিশাল অবদান রয়েছে ওর। যে কোনও ব্যাপারে ধোনির সঙ্গেই আলোচনা করে বিরাট কোহালি।”এটা ঘটনা যে ধোনির অনুপস্থিতিতে রবিবার মোহালিতে অধিনায়ক বিরাটকেও দেখিয়েছে দিশেহারা। কারণ, ফিল্ডিং সাজানো থেকে বোলিং পরিবর্তন, সবেতেই ধোনি মতামত দেন। অ্যাশটন টার্নারের ঝড়ের সময় সেই মতামত পাননি কোহালি।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে ভারত যে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে চলছে, তা মেনে নিয়েছেন বোলিং কোচ। তিনি বলেছেন, “আমরা বিভিন্ন কম্বিনেশন দেখে নিচ্ছি। তার মানে এই নয় যে এই কম্বিনেশন নিয়ে আমরা বিশ্বকাপেও খেলব। যা ভুল করার, যা ঝাঁকুনি খাওয়ার তা এখনই হয়ে যাওয়া ভাল। আমরা তাই সতর্ক থাকছি।” অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে ২-০ এগিয়ে যাওয়ার পরও ২-২ হয়ে গিয়েছে। ফলে, ভারতীয় দলের দুর্বলতার দিকগুলো উঠে আসছে। আর তাকে স্বাগতই জানিয়েছেন ভরত অরুণ। কোথায় সমস্যা, তা বিশ্বকাপের আগে জেনে যাওয়ায় সুবিধা হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে চার নম্বরে বিজয় শঙ্করকে দেখতে চান সঞ্জয় মঞ্জরেকর
আরও পড়ুন: ‘দলে তো আর ১১জন বিরাট কোহালি থাকা সম্ভব নয়’
অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্করকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভরত অরুণ। বলেছেন, “ওর আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন পজিশনে ও দাপটের সঙ্গে ব্যাট করেছে। কখনও চার, কখনও ছয়, কখনও সাতে নেমেছে। আর ব্যাটিংয়ের সেই আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হয়েছে বিজয়ের বোলিংয়েও। একসময় ঘণ্টায় ১২০-১২৫ কিমি গতিতে ও বল করছিল। কিন্তু, এখন ওর বলের গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিমির কাছে। দলে ওর উপস্থিতি বিশাল বড় ইতিবাচক দিক।” যাতে ফুটে উঠছে ইঙ্গিত যে, বিশ্বকাপের স্কোয়াডে বিজয় শঙ্করকে রেখেই ভাবছে টিম ইন্ডিয়া।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)