‘চহাল টিভি’তে ইন্টারভিউয়ের ফাঁকে কোহালি-চহাল। ছবি বিসিসিআইয়ের সৌজন্যে।
ভারতীয় দলে নতুন এক আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। যে আকর্ষণের নাম ‘চহাল টিভি’!
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে এই ‘চহাল টিভি’। যেখানে ম্যাচের পরে যুজবেন্দ্র চহাল সাক্ষাৎকার নেন ভারতের সেরা ক্রিকেটারদের। সিডনি ম্যাচের পরে এই ‘চহাল টিভি’তে দেখা গিয়েছিল রোহিত শর্মাকে। অ্যাডিলেডের পরে এলেন স্বয়ং বিরাট কোহালি। ভারত অধিনায়ককে সামনে পেয়ে চহালের প্রথম প্রশ্নটাই ছিল, ‘‘আপনি ৩৯তম সেঞ্চুরি করলেন, ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হলেন। কখনও কি ভেবেছিলেন চহাল টিভি-তে আসতে পারবেন?’’
প্রশ্ন করার পরেই অবশ্য প্রশ্নকর্তা এবং উত্তরদাতা, দু’জনেই হেসে ওঠেন। যার পরে কোহালির জবাব, ‘‘না, কখনওই ভাবিনি আসতে পারব। আমার তো মনে হয়, ৩৯তম সেঞ্চুরি আর ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারের চেয়ে চহাল টক শোয়ে সুযোগ পাওয়াটা অনেক বড় কৃতিত্বের! আমার কেরিয়ারের সব চেয়ে বড় সম্মান।’’ হাসি ঠাট্টার মধ্যেই শেষ হয়েছে চহালের এই টক শো। ভারতীয় লেগস্পিনার একেবারে শেষে কোহালিকে অনুরোধ করেন, চহাল টিভি-র প্রচারে দু’একটা কথা বলতে। কোহালি বলেন, ‘‘এ রকম পারফরম্যান্স না হলে এখানে আসার সুযোগ পাবেন না। রোহিত এসেছিল, আমি এলাম। পাঁচ উইকেট বা সেঞ্চুরি না হলে চহাল কাউকে সময় দেবে না!’’
আরও পড়ুন: সর্বকনিষ্ঠ পর্বতারোহী হিসেবে সাত শৃঙ্গ ও সাত আগ্নেয়গিরি জয় বাঙালির, বিশ্বরেকর্ড সত্যরূপের
আরও পড়ুন: বিরাট-নজির, অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ভারতীয় ক্যাপ্টেন হিসেবে একদিনে সেঞ্চুরি কোহালির
ভারতীয় দলে যেখানে খুশির হাওয়া, সেখানে কোহালির দলকে ঘিরে কোথাও উচ্ছ্বাস, কোথাও বা সমীহ। সচিন তেন্ডুলকর যেমন টুইট করেছেন, ‘‘দুরন্ত জয়। প্রায় ঘরের মাঠ হয়ে যাওয়া অ্যাডিলেডে আবার সেঞ্চুরি করল কোহালি। ভারতকে ফিনিশিং লাইন পার করে দিল ধোনি এবং কার্তিকের ইনিংস।’’ ধোনির ছবি টুইট করে বীরেন্দ্র সহবাগ লিখেছেন, ‘‘পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত। দারুণ ইনিংস খেলল বিরাট। ধোনি আর কার্তিক স্টাইলে খেলাটা শেষ করল। আমাদের চার-পাঁচ-ছয় নম্বর ব্যাটসম্যানের থেকে আরও কিছু ম্যাচ জেতানো ইনিংস দরকার।’’
কোহালির ইনিংসে মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও। ভারত অধিনায়ককে তিনি সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মঙ্গলবার ল্যাঙ্গার বলেছেন, ‘‘সচিন এবং বিরাট, দু’জনকেই আমি আমার দলে রাখতে চাই।’’ এর পরে ভারতের দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের তুলনা করে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘‘সচিন অসাধারণ ক্রিকেটার ছিল। দেখে মনে হত, যেন ধ্যান করছে। এত শান্ত ছিল। সে জন্যই ও রকম রেকর্ড করতে পেরেছিল। বিরাটও একই কাজ করছে। ব্যাট করার সময় এত শান্ত থাকে। আর টেকনিক্যালি বিরাটের শরীরের ভারসাম্যটা অবিশ্বাস্য। সব ধরনের ফর্ম্যাটে যখন ৩৬০ ডিগ্রি শট খেলে, তখনও ভারসাম্যটা দারুণ থাকে।’’ ল্যাঙ্গার এও মনে করেন, তাঁর দলের ক্রিকেটাররা ধোনি-কোহালির কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারেন।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল ,টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)