লাওসকেও এখন ভয় পাচ্ছেন স্টিভন

সদ্য চোট সারিয়ে ফিরেছেন লালরিন্দিকা। তীব্র গরমে শেষ পাক দৌড়নোর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন নির্দিষ্ট জায়গায়। লাল-হলুদ মিডিওকে দেখে মনে হল ক্লান্তিতে যে কোনও মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়বেন। বমি করবেন।

Advertisement

রতন চক্রবর্তী

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৬ ০৩:১৭
Share:

সদ্য চোট সারিয়ে ফিরেছেন লালরিন্দিকা। তীব্র গরমে শেষ পাক দৌড়নোর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন নির্দিষ্ট জায়গায়। লাল-হলুদ মিডিওকে দেখে মনে হল ক্লান্তিতে যে কোনও মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়বেন। বমি করবেন।

Advertisement

ঘরোয়া লিগ, আই লিগ ফেড কাপ খেলে ক্লান্ত অর্ণব মণ্ডল, জ্যাকিচন্দদের দেখে মনে হচ্ছিল, গুয়াহাটির প্রবল গরমে কারওরই আর শরীর চলছে না।

ফুটবলারদের ফোন করা বারণ। হোটেলের বাইরে বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা তো রয়েছেই, সঙ্গে দু’বেলা অনুশীলনে হাড়ভাঙা খাটুনি। শৃঙ্খলার নামে এতটাই বাড়াবাড়ি যে, মিডিয়ার দিকে তাকাতে বা হাসতেও ভয় পাচ্ছেন ফুটবলাররা।

Advertisement

এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার প্লে অফে লাওসের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। তারই শিবির চলছে গুয়াহাটিতে। ২ জুন সেখানকার জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা সুনীলদের। ফিরতি ম্যাচ গুয়াহাটিতে ৯ জুন। এএফসি কাপের জন্য মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরুর ফুটবলাররা যোগ দেননি শিবিরে। যে তেইশ ফুটবলার যোগ দিয়েছেন তাঁরা পড়েছেন বিপদে। একে মরসুমের শেষ, তার উপর প্রচন্ড আর্দ্রতা আর রোদ। জাতীয় দলের এক সিনিয়র ফুটবলার বলছিলেন, ‘‘আইএসএল থেকে টানা খেলে যাচ্ছি। এখন এই পরিশ্রম শরীরে আর দিচ্ছে না। সুযোগ থাকলে পালিয়ে যেতাম।’’ আইএসএলের পর সাফ শিবিরে যোগ না দিয়ে ফেডারেশনের শাস্তির মুখে পড়েছেন গোয়ার দুই নামী ফুটবলার রোমিও আর মন্দার—সেটা মনে রেখেছে সবাই। তবে ফেড কাপ ফাইনালে চোট পাওয়া প্রীতম কোটাল সম্ভবত বিশ্রাম পেতে চলেছেন। তিনি সাত দিন বিশ্রামের ডাক্তারি সার্টিফিকেট নিয়ে বুধবার দেখা করবেন জাতীয় কোচের সঙ্গে। বাগান সাইড ব্যাক বেঁচে গেলেও জেজে বা সুনীল ছেত্রীদের এখানে এসে পড়তে হবে ব্রিটিশ কোচের ‘কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে’। জাতীয় কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের যুক্তি, ‘‘লাওসের প্রচন্ড গরমের কথা ভেবেই এখানে অনুশীলন করাচ্ছি।’’

লাওসের র‌্যাঙ্কিং ভারতের চেয়ে বেশ খানিকটা নীচে। ভারতের ১৬২ আর লাওসের ১৭৬। একসময় এই টিমটার কোচিং করিয়েছেন ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের বাতিল কোচ ডেভিড বুথ এবং স্টিভ ডার্বি। এখন অবশ্য তাদের কোনও কোচ নেই। সেই লাওসকে নিয়েও নাকি চিন্তায় স্টিভন। টিম বাসে ওঠার আগে বলছিলেন, ‘‘ওদের মাঠে গিয়ে লাওসকে হারানো শক্ত।’’ কিন্তু যে দলের র‌্যাঙ্কিং ভারতের চেয়ে চোদ্দো ধাপ নীচে তাদের নিয়েও এত মাথাব্যথা? শুনে হাসেন স্টিভন। বলেন ‘‘লেস্টার ইপিএল চ্যাম্পিয়ন হবে কেউ ভেবেছিল।’’

অবাক ব্যাপার, লাখ লাখ টাকা মাইনে নিয়ে বিদেশ থেকে এখানে কোচিং করতে আসা স্টিভনদের এখন লাওসকে নিয়েও ভাবতে হচ্ছে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement