ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের অনুশীলন। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
আজ, শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে ভারত মুখোমুখি হবে নেপালের। ম্যাচ জেতার জন্য ঝাঁপাবে গত বারের চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স দুই দলই। লড়াইয়ের আগে আচমকা চোট আঘাত লেগে ফুটবলাররা যাতে সমস্যা না-পড়ে সে জন্য রবিবার রানিডাঙার এসএসবি মাঠে দলকে হালকা অনুশীলন করান ভারতীয় কোচ সাজিদ ইউসুফ দর। দলের অন্যতম ফুটবলার সঞ্জু, কমলা দেবী, সস্মিতা মালিক এবং আশালতা দেবীদের অবশ্য অনুশীলন করতে দেননি। বদলে তাঁরা অনুশীলনের বাইরে মাঠের পাশে কার্যত বিশ্রাম নিয়েছেন। পেশিতে টান এ ধরনের কোনও সমস্যা থাকলে ফিজিওকে দেখে নিতে বলেন কোচ। মাঠের বাইরে বসে হালকা ‘ম্যাসাজ’, ‘স্টিফনেস’ কাটাতে কিছু ব্যায়াম করান তিনি। কোচ চেয়েছিলেন হোটেলে সুইমিং পুল থাকলে সেখানে ফুবটলারদের ‘রিকভারি সেশন’ করাবেন। তবে তা না থাকায় মাঠে গিয়ে হালকা ‘স্ট্রেচিং’ করিয়ে রিকভারি সেশন করানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয় বলে জানান।
কোচ বলেন, ‘‘সেমি ফাইনালে নক আউট স্টেজ-এ খেলতে হবে আমাদের। নেপাল আক্রমণে উঠবে। সে জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েই খেলব। জেতার লক্ষ নিয়েই মাঠে নামবে ফুটবলাররা।’’
ডংমেই গ্রেস, বালাদেবী, সঙ্গীতা বাঁশফোরের মতো ফুটবলারদের দিয়ে এদিন পেনাল্টি অনুশীলন করান কোচ। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ অমীমাংসীত হলে খেলা টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়াবে ভেবেই সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চান তিনি। তা ছাড়া হেডে এবং পাস দিয়ে বল বাড়ানো অনুশীলন করান।
গ্রুপের শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের সঙ্গে জিতলে সেমি ফাইনালে মালদ্বীপের সঙ্গে খেলতে হত ভারতকে। তাতে সুবিধা পেত ভারত। ওই ম্যাচে কমলার মতো স্ট্রাইকারকে প্রথমার্ধে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক পরে কমলাকে নামানো হয়। তার ফল ভুগতে হয়েছে ভারতকে। সঞ্জুকেও নামানো হয় দ্বিতীয়ার্ধে। তাতে বাংলাদেশ যে সুবিধা পেয়ে যায় ম্যাচের পর তা স্বীকারও করেন ভারতের কোচ। এদিন তিনি বলেন, ‘‘সেমিতে আমরা উঠেই গিয়েছিলাম। তাই অন্য ফুটবলারদের পরীক্ষা করার দরকারও ছিল। সেমি ফাইনালের আগে কমলার যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে জন্য তাকে ‘সেফ’ রাখতে চেয়েছি।’’ সেমিফাইনালে তিনি কমলাকে শুরু থেকেই তা হলে নামাচ্ছেন? কোচ সরাসরি কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘ফুটবলারদের শারীরিক অবস্থা দেখে ম্যাচের আগে সিদ্ধান্ত নেব।’’
এদিন দুপুরে এসএসবি মাঠে নেপালের ফুটবলারদের অনুশীলন করান কোচ কুমার থাপা। নেপালের স্ট্রাইকার সাবিত্রা দুটি ম্যাচে ১১টি গোল করেছেন। বিপক্ষ দলও তাকে সমীহ করছে। তবে শ্লীলঙ্কার সঙ্গে গ্রুপের শেষ ম্যাচে গোল পায়নি সাবিত্রা। নেপালের কোচ বলেন, ‘‘কাপ জেতার লক্ষ নিয়েই এ বার আমরা খেলতে এসেছি। সোমবার ম্যাচ জেতাই এখন আমাদের লক্ষ।’’ ভারতের গোলকিপার অদিতি চৌহ্বান অবস্য তৈরি। এদিন অনুশীলনের পর বলেন, ‘‘নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চাই। সাবিত্রার মতো ওদের ফুটবলারকে নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’’
সন্ধ্যায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এ দিন বাংলাদেশ খেলবে মালদ্বীপের সঙ্গে। দুটি দলই এ দিন কদমতলা এসএসবি মাঠে আলাদা সময়ে অনুশীলন করে। বংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানি জানান, ‘‘আমাদের দলে অনুর্ধ্ব ১৬ বছরের অন্তত ১৫ জন ফুটবলার রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন খেলায় তাদের ভাল পারফরম্যান্স রয়েছে। সেই মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। তাদের উপর আমাদের ভরসা রয়েছে।’’