ঐতিহাসিক টেস্টে সিরিজ জয়ের পর গোটা ভারতীয় দলই টগবগ করছে। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর দলটি সিডনির মাঠেই প্রথম একদিনের ম্যাচে নামছে। বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া ছাড়াও বাদ পড়তে পারেন জাডেজা-শামির মতো সফলরাও। দেখে নিন প্রথম একদিনের ম্যাচে কেমন হতে পারে কোহালিদের সম্ভাব্য একাদশ।
শিখর ধওয়ন: রোহিতের সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন শিখর ধওয়নই। গত বছর ১৯ ম্যাচে ৮৯৭ রান করা শিখর শুরুতে ঝড় তুলতে পারলে লাভ হবে ভারতের।
রোহিত শর্মা: একদিনের ম্যাচে ভারতের বড় ভরসা। গত বছর একদিনের ক্রিকেটে হাজারের বেশি রান করা রোহিত দারুণ ফর্মে রয়েছেন।
বিরাট কোহালি: এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। টেস্ট সিরিজে ঐতিহাসিক সাফল্য মনোবল বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন ভারত অধিনায়কের। স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন। গত বছর বিশ্বের সব থেকে বেশি রান সংগ্রহকারীও ছিলেন।
অম্বাতি রায়ুডু: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে অসাধারণ খেলেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৭২-এর উপর গড়ে রান করা এই ডানহাতি মাঝের ওভারগুলি বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামলেছেন।
এমএস ধোনি: উইকেটের পিছনে মিস্টার কুলই থাকছেন। যদিও ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে তেমন সফল নন। অজিদের বিরুদ্ধে সফল না হলে আগামী বিশ্বকাপে দলে থাকা নিয়ে সংশয় হতে পারে।
কেদার যাদব: চোটের কারণে গত বছর একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় দলের বাইরে থাকতে হয়েছিল। তবে অজিদের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে সুযোগ পাচ্ছেন বলা চলে। ব্যাটের পাশাপাশি দক্ষ ফিল্ডার, কার্যকর অফস্পিন বোলারও।
হার্দিক পাণ্ড্য: চোটের কারণ অনেক দিনই দলের বাইরে ছিলেন। এটাই হার্দিকের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম একদিনের ম্যাচ হতে চলেছে। বল-ব্যাটের পাশাপাশি ফিল্ডার হার্দিকও দলের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।
রবীন্দ্র জাডেজা: টেস্টে বল-ব্যাটে দলকে ভরসা দিয়েছেন। জাডেজার স্পিন দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।দলে থাকলে ফিল্ডিং অনেক মজবুত হবে।
কুলদীপ যাদব: এই সিডনিতেই শেষ টেস্টে অজিদের বিরুদ্ধে ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কুলদীপের ভেল্কিতে ইতিমধ্যেই অনেক জয় এসেছে। গত বছরে ৪৮ উইকেট দখলকারী এই বাঁহাতি অজিদের ভীতির অন্যতম কারণ।
ভুবনেশ্বর কুমার: বুমরার বিশ্রামের কারণে দলের পেস আক্রমণের দায়িত্ব থাকছে ভুবির কাঁধেই। দেশের মাঠে সফল ভুবনেশ্বর অজিদের বিরুদ্ধেও সফল হবেন বলেই আশা করা যায়।
খলিল আহমেদ: আগামী বিশ্বকাপে সুযোগ পেতে হলে অজিদের বিরুদ্ধে সফল হতে হবে। সিডনিতে তেমন কিছু করতে না পারলে শামিদের পথ ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না এই তরুণের সামনে। বুমরার দলে না থাকার সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে খলিলকে।