পাঁচ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ ইতিমধ্যেই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে ধোনিদের। হাতে রয়েছে দুটো ম্যাচ। বুধাবারের ম্যাচ জিতলে একটু হলেও মান বাঁচবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের। ৩-০তে সিরিজ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মান বাঁচানোর আশায় নেমে ম্যাচ বাঁচবে কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। দু’বার তিনশোর উপরে একবার তিনশোর কাছাকাছি রান তুলেও জয়ের মুখ দেখতে পায়নি ভারত। বোলারদের ব্যর্থতা তিন ম্যাচেই ডুবিয়েছে দলকে। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার রাস্তা খুঁজতে ব্যস্ত ধোনি অ্যান্ড ব্রিগেড। এভাবে বোলিং ডিপার্টমেন্ট যে ধরাশায়ী হবে সেটা কেই বা ভেবেছিল। ব্যাটিং বিভাগে প্রতিদিনিই রেকর্ড গড়ে তিনবার হারতে হয়েছে। কোনও কাজে লাগেনি রোহিত, বিরাটদের রেকর্ড ব্রেকিং ইনিংস। তবে সেই ব্যাটিংয়েই ভরসা রেখে মান বাঁচাতে বুধবার নামছে টিম ইন্ডিয়া।
আরও খবর : অনেক ফাটল দেখিয়ে দিয়ে গেল এই সিরিজ
ঘরের মাঠে পর পর ১৭টি ম্যাচ জিতে রেকর্ড স্পর্শ করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার সেটাকে ছাপিয়ে যেতেই পরের ম্যাচে নামবে স্মিথবাহিনী। ভারতীয় বোলারদের ব্যর্থতায় জয় এসেছে ঠিকই কিন্তু অস্ট্রেলিয়াও নিজেদের বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে চিন্তায়। তিন ম্যাচেই প্রথম ৩০ ওভারে মাত্র পাঁচটির বেশি উইকেটই নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। যেটা ভাবাচ্ছে অধিনায়ক স্মিথকে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলেরই সেরা ইকনমি রেট ৫.৬১। সেদিক থেকে ভারতীয় বোলারদের সেরা রবীন্দ্র জাদেজা। ফ্লপ তিনিও। প্রথম দুই ম্যাচে অশ্বিন ফ্লপ করার পর তৃতীয় ম্যাচে তাঁকে বাইরে রেখেই দল নামিয়েছিলেন ধোনি।
ভারতীয় দলের জন্য ক্যানবেরায় অবশ্য অপেক্ষা করছে গরম। সঙ্গে ফ্ল্যাট পিচ। বোলারদের জন্য আবার সেই একই পরীক্ষা। ভারত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতেছিল ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তার পর থেকে ন’ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। দুটো ড্র রয়েছে। পর পর তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হলেও দলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ছেলেরা দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। বিশেষ করে ব্যাটিং। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা বড় রানের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে।’’