লোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অস্ট্রেলিয়ার উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।
প্রথম ইনিংস: দ্বিতীয় দিন
অস্ট্রেলিয়া ৩০০
ভারত ২৪৮/৬
ধর্মশালায় শেষ টেস্টে প্রথম দিন বল হাতে যে ভাবে ভরসা দিয়েছিল ভারত দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে তেমনটা হল না। কোনও ব্যাটসম্যানই ক্রিজে টিকে থাকতে পারল না দীর্ধ সময়। দুই ওপেনারের মধ্যে মুরলী বিজয় মাত্র ১১ রান করেই দিনের শুরুতে ফিরে গিয়েছিলেন প্যাভেলিয়েন। এর পর লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরতে নামেন চেতেস্বর পূজারা। দু’জনের জুটি ভালই এগোচ্ছিল। দলগত ২১ রানে প্রথম উইকেট প়ড়ার পর দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ১০৮ রানে। ওপেনার লোকেশ রাহুল আউট হন ব্যাক্তিগত ৬০ রানে। তিন নম্বরে নামা পূজারাকে কিছুটা সঙ্গ দেন অজিঙ্ক রাহানে। চেতেশ্বর পূজারার ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে করেন ৪৬। কিন্তু ভরসা দিতে পারেননি কেউই। কারও ব্যাট থেকেই আসেনি সেঞ্চুরি। এমন অবস্থায় ৩০০ রানের লক্ষ্যটাও অনেকটা বড় মনে হয়। ভারতীয় ব্যাটিংয় এই মুহূর্তে সেই পরিস্থিতির সামনেই দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে।
আরও খবর: ‘চায়নাম্যান সুপারম্যান, কুলদীপ ওর প্রতি টিমের আস্থার মর্যাদা রেখেছে’
এর পর করুণ নায়ার পাঁচ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৩০ রান করে আউট হয়ে যান। আবারও বল হাতে দারুণ সফল অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লিয়ঁ। চার উইকেট নেন তিনি। এ যাত্রায় লিয়ঁর শিকার পূজারা, রাহানে, নায়ার ও অশ্বিন। দিনের শেষ চার উইকেটই তুলে নেন তিনি। দিনের শেষে ছ’উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ২৪৮। ব্যাট করছেন ঋদ্ধিমান সাহা (১০) ও রবীন্দ্র জাডেজা (১৬)। দু’জনের উপরই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভরসা রাখতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। দ্বিতীয় দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে ভারত এখনও ৫২ রানে পিছিয়ে। হাতে রয়েছে চার উইকেট।
ধর্মশালায় ভারতীয় সমর্থকরা।
প্রথম দিনই ৩০০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। টস জিতে ব্যাট করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। তাঁর ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি এলেও আর বড় কিছু করতে পারেনি কেউই। ডেভিড ওয়ার্নারের ৫৬ ও ম্যাথু ওয়েডের ৫৭ রানের সুবাদে অস্ট্রেলিয়ার রান পৌঁছয় ৩০০তে। অভিষেকেই বল হাতে দারুণ সফল ভারতের কুলদীপ যাদব। চার উইকেট তুলে নেন তিনি। তাঁর বলের দাপটেই এক এক করে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান মার্শ, হ্যান্ডসকম্ব, ম্যাক্সওয়েল ও কামিন্স। দুটো উইকেট নিয়েছিলেন উমেশ যাদব। বাকিরা সকলেই একটি করে উইকেট তুলে নেন। সেই তালিকায় ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজা।