হিমা দাস। ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এই মুহূর্তে পাটিয়ালায় এনআইএস হস্টেলে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন তাঁরা। ফলে বাইরে বেরিয়ে অনুশীলনের কোনও সুযোগ নেই হিমা দাস-সহ একাধিক অ্যাথলিটের। তাই হস্টেল প্রাঙ্গনের মাঠেই ঘর থেকে বেরিয়ে অনুশীলন করতে দেওয়ার জন্য আবেদন করে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রককে চিঠি দিলেন হিমা-সহ সেখানকার বাকি অ্যাথলিটেরা।
এ প্রসঙ্গে তাঁদের যুক্তি, যেহেতু হস্টেল প্রাঙ্গনে এই মুহূর্তে বাইরের থেকে কেউ ঢুকতে পারছেন না, ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনাও নেই। হিমারা সঙ্গে পেয়ে গিয়েছেন ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স দলের সহকারী প্রধান কোচ রাধাকৃষ্ণন নায়ারকে। তিনি জাতীয় ক্রীড়া ইনস্টিটিউটের হস্টেলে এই মুহূর্তে গৃহবন্দি খেলোয়াড়দের হস্টেল প্রাঙ্গনের মাঠে অনুশীলন করতে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করে জানিয়েছেন, ‘‘দিনে এক-দু’ঘণ্টা হস্টেল প্রাঙ্গনের মাঠে বা ট্র্যাকে অনুশীলনের জন্য হিমারা কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুর অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রকে। আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে উত্তর পেয়ে যাবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, অনুশীলনের সময়ে অ্যাথলিটেরা একে অপরের থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবে।’’ সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের কাছে এই মন্তব্য করার পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, ‘‘চিঠিতে এটাও বলা হয়েছে, যদি হস্টেলের বাইরে বেরিয়ে অনুশীলনের অনুমতি না দেওয়া হয়, তা হলে অ্যাথলিটদের যেন বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দেশে এই মুহূর্তে লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে যে যেখানে রয়েছে, তাঁকে সেখানেই থাকতে বলা হয়েছে। ফলে বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু অনুশীলন করা যায়। দেখা যাক, দু’তিন দিন পরে কী উত্তর আসে!’’
বর্ষীয়ান এই কোচ আরও বলেন, ‘‘হস্টেলে ৪১ জন অ্যাথলিট রয়েছে। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড হস্টেল থেকে ৫০ মিটার দূরে। সাত-আট জন অ্যাথলিটকে নিয়ে এক-দু’ঘণ্টা অনুশীলন করাই যায়। কেউ এক সঙ্গে অনুশীলন করবে না। এক জন দৌড় বা ছোড়া (ডিসকাস বা জ্যাভলিন) শেষ করলে তবেই আর এক জন অনুশীলন শুরু করবে। এতে সকলেই সুরক্ষিত থাকবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘অনেক অ্যাথলিট ঘরের মধ্যে ছোট জায়গায় অনুশীলন করতে পারেন। কিন্তু যারা দৌড়ায় বা ডিসকাস ও জ্যাভলিন ছোড়ে তাদের শরীরের স্ট্রেংথ ও শরীরে রক্তসঞ্চালন পদ্ধতি ধারাবাহিক ভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে তৈরি করতে হয়। গত দু’বছর ধরে এই অ্যাথলিটেরা এ ভাবেই দিনে তিন বার করে অনুশীলন করছে। এখন হঠাৎ এ ভাবে অনুশীলন বন্ধ করে দিলে সমস্যায় পড়বে অ্যাথলিটেরা। তখন ফের নতুন করে ওদের শুরু করতে হবে।’’