আইসিসিকে আর্জি বিসিসিআইয়ের

পাকিস্তানের সঙ্গে আর এক গ্রুপে নয়

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে চলে যাওয়ায় এ বার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মুখোমুখি হতে চায় না ভারত। আইসিসিকে এমন অনুরোধই করেছে ভারতীয় বোর্ড। মুম্বইয়ে এ দিন বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভা স্থগিত হয়ে গেলেও ভারত-পাক ক্রিকেট নিয়ে নিজেদের মধ্যে এক দফা আলোচনা করে নেন বোর্ড কর্তারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:০৫
Share:

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে চলে যাওয়ায় এ বার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মুখোমুখি হতে চায় না ভারত। আইসিসিকে এমন অনুরোধই করেছে ভারতীয় বোর্ড। মুম্বইয়ে এ দিন বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভা স্থগিত হয়ে গেলেও ভারত-পাক ক্রিকেট নিয়ে নিজেদের মধ্যে এক দফা আলোচনা করে নেন বোর্ড কর্তারা। তার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Advertisement

বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর এ দিন বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানকে এক ঘরে করার যে কৌশল নিয়েছে তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের আবেগের কথা মাথায় রেখে আমরা আইসিসিকে অনুরোধ করেছি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে যেন ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে এক গ্রুপে না রাখা হয়।’’ তবে সঙ্গে তিনি যোগ করছেন, ‘‘সেমিফাইনালে মুখোমুখি হলে আলাদা কথা। সেটা এড়ানো যাবে না।’’ এর পরে যে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হচ্ছে সেটা হল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যে টুর্নামেন্টের গ্রুপ আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে আইসিসি। এবং যেখানে ভারত-পাকিস্তান সেই একই গ্রুপে আছে। প্রতিবেশী দেশ নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের চরম অবস্থান নেওয়ার দিনই আবার পাক ক্রিকেটাররা শান্তি ও দু’দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ফের জোড়া লাগানোর জন্য ব্যাট করতে নেমে পড়েছেন। অফস্পিনার সইদ আজমল যেমন বলেছেন, ‘‘অতীতেও ক্রিকেট সিরিজের মাধ্যমে উত্তেজনা কমেছে দু’দেশের। সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সাহায্য করেছে ক্রিকেট। তাই আমি মনে করি দু’দেশের মধ্যে ক্রিকেট হওয়া উচিত।’’ প্রাক্তন পাক ক্যাপ্টেন শাহিদ আফ্রিদি টুইটারে বলেছেন, পাকিস্তান সব সময়ই ‘শান্তিপূর্ণ দেশ’। যে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় আলোচনার মাধ্যমে সেখানে চূড়ান্ত পদক্ষেপ কেন করা হবে? দু’দেশ লড়াইয়ে নামলে তার প্রভাব পড়ে ‘দু’তরফেই’।

আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারে এর পরে দুই প্রতিবেশী দেশের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। যা প্রায় সাত মাস পরে হবে ইংল্যান্ডে। তবে ভারতের অনুরোধের পর এ বার গ্রুপ থেকে দুই দেশকে আলাদা করে দেওয়া হবে কি না এখন সেটাই দেখার। আইসিসি-র তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

এ দিকে, লোঢা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী গঠনতন্ত্রে সংশোধন নিয়ে বিসিসিআই এ দিন যে বিশেষ সাধারণ বৈঠক ডেকেছিল, তা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। বোর্ড অনুমোদিত সংস্থাদের মধ্যে কিছু সংস্থার প্রতিনিধিরা সঠিক অনুমোদন পত্র দিতে না পারায় বৈঠক এ দিন করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবারই গঠনতন্ত্রের সংশোধনের সময়সীমা শেষ হল। আগামিকাল, শনিবার আবার বৈঠক হওয়ার কথা।

বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুরের আবার ইডেনে আসার কথা ছিল শনিবার সকালে। কিন্তু এসজিএমের জন্য তাঁর আসার সময় পিছিয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে শনিবার রাতে বা রবিবার সকালে আসতে পারেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement