চ্রফি হাতে অধিনায়ক রাহানে।
তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে ৮৩ রানে হারিয়ে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। মঙ্গলবার হারারেতে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৮৪ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বেকায়দায় পড়ে রাহানে-বাহিনী। কিন্তু, পঞ্চম উইকেটে মণীশ পাণ্ডের সঙ্গে ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ করে ভারতের মান বাঁচালেন কেদার যাদব। জীবনের প্রথম শতরান করে মিডল অর্ডারের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনেন যাদব।
তিরিশ বছরের যাদবের চওড়া ব্যাটে এ দিন রাহানেদের মুখরক্ষা হলেও ভারতের প্রথম দিকের ব্যাটসম্যানেরা এ দিনও চিন্তার কারণ হয়ে ওঠেন। সিরিজে টানা তিন বার টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবোয়ে। আগের দু’টি ম্যাচ জিতে সিরিজে পকেটে পুরলেও লক্ষ্য রয়েছে হোয়াইটওয়াশ করে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা। কিন্তু, শুরুতেই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে ভারত। ৫.৫ ওভারে মাত্র ১৫ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক অজিঙ্কে রাহানে। ক্রিজে টেঁকেননি মুরলী বিজয়ও। ৭.১ ওভারে তাঁর উইকেট নেন মাদজিভা। বহু দিন পরে ভারতীয় দলে এলেও সিরিজে বড়সড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ মনোজ তিওয়ারি। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেই ট্র্যাডিশন বজায় রাখলেন রবিন উত্থাপ্পা। তিন নম্বরে নেমে তিনিও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। ৪৪ বলে ৩১ রানের ইনিংস আশা জাগালেও তা ক্ষণস্থায়ী হয়নি।
অভিষেকেই নিজের জাত চেনালেন মণীশ পাণ্ডে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় জার্সিতে এই প্রথম ওয়ান ডে দলে। আর, সিনিয়রদের হয়ে প্রথম বারের বিদেশ সফরেই ভারতীয় মিডল অর্ডারের ত্রাতার ভূমিকায়। ৪ উইকেট হারানোর পর ম্যাচে বেকায়দায় পড়ে ভারত। পাঁচ নম্বরে নেমে কিছুটা স্বস্তি দেয় তাঁর ব্যাটিং। এর পর নামেন কেদার। তাঁর ৮৭ বলে ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি চার ও একটি ৬ দিয়ে। ব্যক্তিগত ৭১ রানে মণীশ আউট হওয়ার পর লোয়ার অর্ডারে নেমে ৮ বলে ১৮ রানের মারকাটারি ব্যাট করেন স্টুয়ার্ট বিনি। সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে রানের টার্গেট দেয় ভারত। জয়ের জন্য রান তাড়া করতে নেমে জিম্বাবোয়ের হয়ে চিভাভা (৮২) ছাড়া কেউই বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেননি। বিনি ও মোহিত মোহিত শর্মার পেস-অ্যাটাকের সামনে প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হন তাঁরা। দু’টো করে উইকেট নেন হরভজন সিংহ ও অক্ষর পটেল। তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে চিগামবুরাকে তুলে নেন পার্টটাইমার মুরলী বিজয়। ম্যাচের সেরা হন কেদার যাদব।
ছবি: এপি।