বিশ্বকাপ হারানোর ভয় নেই ভারতের, জানিয়ে দিল আইসিসি

২০১৬-তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় করে ছাড় চেয়েছিল আইসিসি। কিন্তু ভারত সরকার তাদের সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪৫
Share:

২০১৬-তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় করে ছাড় চেয়েছিল আইসিসি। ছবি: সংগৃহীত।

দু’বছর পরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বা ২০২৩ বিশ্বকাপের আয়োজন ভারতে করা নিয়ে কোনও সংশয় নেই বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল আইসিসি। বৃহস্পতিবার ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার বিদায়ী চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ডেভিড রিচার্ডসন জানান, ভারত সরকার যতই আয়কর ছাড় দিতে অস্বীকার করুক, এই দু’টি প্রতিযোগিতা করার ব্যাপারে কোনও বাধা থাকছে না।

Advertisement

২০১৬-তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় করে ছাড় চেয়েছিল আইসিসি। কিন্তু ভারত সরকার তাদের সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। শোনা গিয়েছিল, এর পরেই আইসিসি না কি ভারতীয় বোর্ডকে বলে যে, কর বাবদ ১৬১ কোটি টাকা ফেরত দিক তারা। নয়তো ২০২৩ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাবে না ভারত। কিন্তু এ দিন নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে এসে রিচার্ডসন বলে দেন, ‘‘আইসিসি-র কাছে কর ছাড়ের ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যে অর্থ বাঁচানো যায়, তার পুরোটাই ক্রিকেটের উপরে ফের লগ্নি করতে পারে নিয়ামক সংস্থা। এর ফলে উপকৃত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দেশ যারা কি না নিজেদের দেশে ক্রিকেট আয়োজন করে ততটা মুনাফা করতে পারে না।’’ তার পরেই সিইও যোগ করেন, ‘‘কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ভারতের হাত থেকে আমরা বিশ্বকাপ নিয়ে নিতে চাইছি। আমি নিশ্চিত, শেষ পর্যন্ত আইসিসি কর ছাড় পেয়ে যাবে। এখনও অনেক সময় বাকি আছে।’’

একটি ঠান্ডা পানীয় সংস্থার সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি হল আইসিসি-র। সেই ঘোষণা হল ভারতের মাটিতে। বোঝাই যাচ্ছে, বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় বাজারকে গুরুত্ব দিচ্ছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার আশি-পঁচাশি শতাংশ অর্থই আসে ভারতীয় লগ্নিকারীদের দিক থেকে। ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান সেরা দ্বৈরথ দেখাই যাবে না। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রিচার্ডসনের জবাব, ‘‘গ্রুপ ঠিক করা হয়েছে র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে। তাই সেমিফাইনালের আগে কোনও ভাবেই দুই দেশের খেলা ফেলা যায়নি।’’ ক্রিকেটে দুর্নীতি নিয়ে আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। যথারীতি আইসিসি সিইও দাবি করছেন, সংস্থার দুর্নীতি দমন শাখা শক্ত হাতে গড়াপেটা দমনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement