Sports News

জাডেজার ঘূর্ণিতে নাটকীয় জয় ভারতের, সিরিজ ৪-০

সবাই মিলে পারফর্ম করলে হয়তো এমনটাই হয়। উল্টোদিকে যতই বড় প্রতিপক্ষ হোক না তখন কেউই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। ভারতের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হল। সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ লেখা থাকল তিনজনের নামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:০৭
Share:

ইংল্যান্ড ৪৭৭ ও ২০৭

Advertisement

ভারত ৭৫৯/৭ (ইনিংস ঘোষণা)

এক ইনিংস ও ৭৫ রানে জয় ভারতের

Advertisement

সবাই মিলে পারফর্ম করলে হয়তো এমনটাই হয়। উল্টোদিকে যতই বড় প্রতিপক্ষ হোক না কেন তখন কেউই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। ভারতের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হল। সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ লেখা থাকল তিনজনের নামে। লোকেশ রাহুল, করুণ নায়ার ও রবীন্দ্র জাডেজা। লোকেশ রাহুল এক রানের জন্য ডবল সেঞ্চুরি না পেলেও ভারতীয় ইনিংসের ভীত তৈরি করে দিয়ে গেলেন।তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে গেলেন পার্থিব পটেল। এর পর করুণ নায়ার যেটা করলেন সেটা ইতিহাস। তাঁর ইনিংস এই মাত্রায় পৌঁছে দিতে উল্টো প্রান্তে ব্যাট হাতে সঙ্গত দিয়ে গেলেন অশ্বিন ও জাডেজা। আর শেষটা করলেন রবীন্দ্র জাডেজা। প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন আরও সাত। সঙ্গে ব্যাট হাতে ঝকঝকে ৫১ রানের ইনিংস। টানা ১৮ টেস্ট জিতে ইতিহাসও তৈরি করে ফেলল ভারত।

আরও খবর: মৃত্যুকেই যে হারিয়েছে তার কাছে ট্রিপল সেঞ্চুরি কী চাপ

ম্যাচ ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার। ভারতীয় দলের কাছে জয়টা ছিল সিরিজে ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার। কারণ পাঁচ ম্যাচের সিরিজ আগেই ৩-০তে জিতে নিয়েছেন বিরাট কোহালিরা। তবুও হাল ছাড়েনি ভারত। প্রথম থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে শেষ টেস্টে জয়ের স্বপ্নই দেখেছিল কুকবাহিনী। কিন্তু সেই স্বপ্ন ধাক্কা খেল প্রথম ইনিংসেই ভারতীয় বোলারদের হাতে। ক্যাচ ফেলে মইন আলিকে সেঞ্চুরি করার সুযোগ করে দিয়েছিল ভারতীয় ফিল্ডাররা ঠিকই কিন্তু ৪৭৭ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ডওসন ও রশিদ একটা চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু জাডেজা, উমেশদের বলের দাপটে সেই ৫০০ রান পেড়িয়ে যেতে পারেনি ইংল্যান্ড।

ভারতীয় শিবিরে জয়ের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন ভারতের ওপেনাররা। এক ওপেনার লোকেশ রাহুল সবাইকে হতাশ করে নিজেও ভেঙে পড়েছিলেন জীবনের প্রথম ডবল সেঞ্চুরি মিস করে। ১৯৯ রানে আউট হয়ে পিচেই মুখ ঢেকে বসে পড়েছিলেন। ওপেন করতে নেমে পার্থিব পটেলও দারুণ সঙ্গত দিয়ে গেলেন লোকেশকে। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল গুরুত্বপূর্ণ ৭১ রান। তিন ও চারে ব্যাট করতে নেমে ১৬ ও ১৪ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান পূজারাও কোহলি। তার পর লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন করুণ নায়ার। তাঁকে অবশ্য সেষ পর্যন্ত থামানো যায়নি। বাধ্য হয়েই ইনিংস ঘোষণা করে দেন বিরাট কোহালি। ততক্ষণে অবশ্য ৩০৩ রানের ইনিংস খেলে ফেলেছেন নবাগত এই টেস্টে প্লেয়ার। লোকেশ রাহুল আউট হওয়ার পর করুণ নায়ারকে সঙ্গ দিয়ে যান কখনও অশ্বিন (৬৭) আবার কখনও জাডেজা (৫১)। যার ফলে ভারতের ইনিংস পৌঁছে যায় ৭৫৯/৭এ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০৭ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান জেনিংসের ৫৪। কুক আউট হন ৪৯ রানে। মইন আলির সংগ্রহ ৪৪। এর পর আর কাউকেই দাঁড়াতে দেয়নি ভারতীয় বোলিং। বিশেষ করে বল হাতে একাই ইংল্যান্ড ইনিংসকে শেষ করে দিলেন জাডেজা। বাকি তিনটি উইকেট নেন উমেশ যাদব, অমিত মিশ্রা ও ইশান্ত শর্মা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement