ম্যাচ শেষে দুই দলের ক্রিকেটারেরা। ছবি: সংগৃহীত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে শেষ প্র্যাক্টিস ম্যাচে বড় জয় ভারতের। হার্দিক পাণ্ড্যর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের উপর ভর করে বাংলাদেশকে নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলে ২৪০ রানে হারালেন বিরাট কোহালিরা।
কিংস্টন ওভালে শেষ প্র্যাক্টিস ম্যাচে নামার আগে এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল টিম ইন্ডিয়া। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা। লন্ডনের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে মোর্তাজার বোলিংয়ের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না। কিন্তু, ওভালে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মর্যাদা রাখতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশ বোলাররা। ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারে ৩২৪ রান তোলেন শিখর ধবন-রোহিত শর্মারা। ম্যাচ শুরুর ২ ওভারের মধ্যে রোহিত শর্মার উইকেট হারালেও ভারতীয় ব্যাটিংকে চাপে পড়তে দেননি শিখর ধবন এবং দীনেশ কার্তিক। ধবন (৬০) এবং কার্তিক (৯৪)-র অনবদ্য পারফর্মম্যান্সের জেরে কার্যত দিশাহারা দেখায় মুস্তাফিজুর-তাসকিনদের। এর পর ভারতীয় ইনিংসকে আরও মজবুত করেন হার্দিক। ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট পান রুবেল হোসেন, ২টি শিকার সানজামুল ইসলামের।
আরও পড়ুন: আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে ভারত
জবাবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ সৌম সরকার-সাব্বির রহমানরা। ২৩.৫ ওভারে মাত্র ৮৪ রানে শেষ হয়ে যায় টাইগার বাহিনী। বাংলাদেশের হয়ে এ দিন সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন মেহেদি হাসান। এই ম্যাচে তামিম ইকবালকে বিশ্রাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। তামিমের না থাকাটা যে এত বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে তা হয়ত ভাবেননি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভারতের হয়ে এ দিন অনবদ্য বোলিং করেন ভুবনেশ্বর কুমার এবং উমেশ যাদব। দু’জনেই পান ৩টি করে উইকেট। এ ছাড়া, ১টি করে উইকেট পান মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পাণ্ড্য এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন।